আজ আমরা excel ব্যবহার করে কিভাবে যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ করতে পারি তা
দেখবো। এটা খুবই সহজ। অনেকটা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার মত। আসুন প্রথমেই
আমরা excel এ নিচের ডাটা গুলো Input দেই:

এখানে আমরা যে কাজটি করবো তাহলো, প্রথমে আমরা ২০০০ ও ৫০০০ যোগ করবো, তারপর ১৫০০ থেকে ৮০০ বিয়োগ করবো, তারপর ৫০ এবং ১০ গুণ করবো এবং সবশেষে ৮০০০ কে ৫০ দিয়ে ভাগ করবো। আর আপনি যদি এই চারটি নিয়ম ভাল ভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনার আর কোন calculation এ সমস্যা হবে না।
Excel এ যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ এর জন্য যে চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো একনজর দেখে নিন:
যোগ: বাস্তবের ‘ + ‘ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়
বিয়োগ: বিয়োগ এর জন্য ও নরমাল ‘ – ‘ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়
গুণ: গুণ করার জন্য ‘ x ‘ ক্রস চিহ্ন এর বদলে ‘ * ‘ star বা asterik sign ব্যবহার করার হয়।
ভাগ: ভাগ ‘ ÷ ‘ করার জন্য ‘ / ‘ slash ব্যবহার করা হয়।
নিশ্চয়ই আপনাদের Cell address এর কথা মনে আছে। এটা excel এ calculations এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যোগ:
উপরের ছবি দেখুন। যেখানে যোগফল বের করতে চান প্রথমে সেখানে ক্লিক করুন,
তারপর কিবোর্ড থেকে ‘=’ চিহ্ন press করুন, তারপর যে সংখ্যাগুলি যোগ করতে
চান, সেগুলোর ভিতর থেকে প্রথমটার উপরে ক্লিক করুন, আমি যেমন এখানে ২০০০ এর
উপর ক্লিক করেছি। তাহলে দেখবেন Result এর নিচের সেলে =B2 লেখা আসছে(সমান
চিহ্ন কিবোর্ড থেকে আমরা press করছি বলে আর B2 আসছে ২০০০ এর উপর ক্লিক করার
কারণে, এটা আসলে ২০০০ যে ঘরে আছে তার সেল Address)।

এবার যোগ ‘ + ‘ চিহ্ন দিন ও তারপরের সংখ্যা অর্থাৎ এখানে ৫০০০ এর উপর ক্লিক করুন এবং সবশেষে ENTER press করুন, তাহলেই আপনি যোগফল পেয়ে যাবেন। আপনার যদি আরো অনেক সংখ্যা একসাথে যোগ করতে চান তাহলে এভাবেই করতে থাকুন। প্রথমে সংখ্যার উপরে ক্লিক, তারপর + চিহ্ন, আবার সংখ্যা আবার + চিহ্ন এভাবে পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন। নিচে Enter press করার পরের রেজাল্ট দেখুন।

বিয়োগ:
প্রথমেই উপরের ছবির দিকে লক্ষ করুন, আমি দেখুন ১, ২, ৩, ৪ এভাবে করণীয়
ধাপ গুলো মার্ক করে দিয়েছি। যেমন: বিয়োগ করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
বিয়োগফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ১৫০০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে – বিয়োগ চিহ্ন, এখন ৮০০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।
গুন:
এটিও একই রকম ভাবে করতে হবে। যেমন: গুন করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
গুনফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ৫০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে * গুন চিহ্ন, এখন ১০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।
ভাগ:
এটিও একই রকম ভাবে করতে হবে। যেমন: ভাগ করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
ভাগফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ৮০০০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে ÷ ভাগ চিহ্ন, এখন ৫০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।
এভাবেই আপনার যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগ এগুলো করতে পারবেন। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল সেটা হল অনেকেই মনে করতে পারেন যে, বিভিন্ন সংখ্যার উপর ক্লিক করলে সেই সংখ্যা না এসে Cell address কেন আসছে? এর লাভ কি? হ্যা এর অনেক লাভ আছে – এখানে Cell address টা Variable বা চলক হিসেবে ব্যবহার হয়। আমরা সবাই বীজগণিতের অংক করার সময় শিখেছি যে, সাধারণত X, Y, Z ইত্যাদি কে চলক হিসেবে ধরা হয়। চলক ধরার সুবিধা হল, এর মান ইচ্ছা মতো পরিবর্তন করা যায় বা করা সম্ভব। যেমন লক্ষ করুন: ১০০০+১০০০ সবসময়ই এর মান ২০০০ হবে কিন্তু আপনি যদি বলেন, X+Y=? যেখানে, X এর মান 1000 ও Y এর মান 1000, তাহলেও কিন্তু রেজাল্ট একই হবে অর্থাৎ ২০০০। কিন্তু আবার আপনি যদি বলেন X এর মান 1500 ও Y এর মান 100 , তাহলে রেজাল্ট কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাবে অর্থাৎ ১৬০০ হবে। কিন্তু আপনার সমীকরণ কিন্তু একই আছে। Excel এও অনুরূপ কারণে সংখ্যা এর বদলে Cell Address ব্যবহার করা হয় যেমন আমাদের করা একটি উদাহরণ লক্ষ করেন =B2 + C2 এর মান ৭০০০। আপনি এখন যদি ৫০০০ এর স্থানে ক্লিক করে ৮০০০ লিখে দেন তাহলে এটা ১০০০০ হয়ে যাবে।
ভাল থাকবেন। আজকে এটুকু।

এখানে আমরা যে কাজটি করবো তাহলো, প্রথমে আমরা ২০০০ ও ৫০০০ যোগ করবো, তারপর ১৫০০ থেকে ৮০০ বিয়োগ করবো, তারপর ৫০ এবং ১০ গুণ করবো এবং সবশেষে ৮০০০ কে ৫০ দিয়ে ভাগ করবো। আর আপনি যদি এই চারটি নিয়ম ভাল ভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনার আর কোন calculation এ সমস্যা হবে না।
Excel এ যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ এর জন্য যে চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো একনজর দেখে নিন:
যোগ: বাস্তবের ‘ + ‘ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়
বিয়োগ: বিয়োগ এর জন্য ও নরমাল ‘ – ‘ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়
গুণ: গুণ করার জন্য ‘ x ‘ ক্রস চিহ্ন এর বদলে ‘ * ‘ star বা asterik sign ব্যবহার করার হয়।
ভাগ: ভাগ ‘ ÷ ‘ করার জন্য ‘ / ‘ slash ব্যবহার করা হয়।
নিশ্চয়ই আপনাদের Cell address এর কথা মনে আছে। এটা excel এ calculations এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখবেন, EXCEL এ যে cell এ আপনি calculation করতে চান, সেই cell এ click করে অবশ্যই ‘ = ‘ Equal to বা সমান চিহ্ন দিতে হবে। নাহলে আপনি কোনভাবেই কোন প্রকার calculation করতে পারবেন না।
আসুন আমরা একে একে দেখে নিই এই calculations গুলো কিভাবে করবো:
যোগ:

উপরের ছবি দেখুন। যেখানে যোগফল বের করতে চান প্রথমে সেখানে ক্লিক করুন,
তারপর কিবোর্ড থেকে ‘=’ চিহ্ন press করুন, তারপর যে সংখ্যাগুলি যোগ করতে
চান, সেগুলোর ভিতর থেকে প্রথমটার উপরে ক্লিক করুন, আমি যেমন এখানে ২০০০ এর
উপর ক্লিক করেছি। তাহলে দেখবেন Result এর নিচের সেলে =B2 লেখা আসছে(সমান
চিহ্ন কিবোর্ড থেকে আমরা press করছি বলে আর B2 আসছে ২০০০ এর উপর ক্লিক করার
কারণে, এটা আসলে ২০০০ যে ঘরে আছে তার সেল Address)।
এবার যোগ ‘ + ‘ চিহ্ন দিন ও তারপরের সংখ্যা অর্থাৎ এখানে ৫০০০ এর উপর ক্লিক করুন এবং সবশেষে ENTER press করুন, তাহলেই আপনি যোগফল পেয়ে যাবেন। আপনার যদি আরো অনেক সংখ্যা একসাথে যোগ করতে চান তাহলে এভাবেই করতে থাকুন। প্রথমে সংখ্যার উপরে ক্লিক, তারপর + চিহ্ন, আবার সংখ্যা আবার + চিহ্ন এভাবে পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন। নিচে Enter press করার পরের রেজাল্ট দেখুন।

বিয়োগ:

প্রথমেই উপরের ছবির দিকে লক্ষ করুন, আমি দেখুন ১, ২, ৩, ৪ এভাবে করণীয়
ধাপ গুলো মার্ক করে দিয়েছি। যেমন: বিয়োগ করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
বিয়োগফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ১৫০০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে – বিয়োগ চিহ্ন, এখন ৮০০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।
গুন:

এটিও একই রকম ভাবে করতে হবে। যেমন: গুন করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
গুনফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ৫০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে * গুন চিহ্ন, এখন ১০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।
ভাগ:

এটিও একই রকম ভাবে করতে হবে। যেমন: ভাগ করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে সেলে
ভাগফল চান সেখানে ক্লিক করে = চিহ্ন দিতে হবে, তারপর ৮০০০ এর উপর ক্লিক,
তারপর কিবোর্ড থেকে ÷ ভাগ চিহ্ন, এখন ৫০ এর উপর ক্লিক এবং সবশেষে Enter
prees ও রেজাল্ট প্রত্যক্ষ করুন।এভাবেই আপনার যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগ এগুলো করতে পারবেন। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল সেটা হল অনেকেই মনে করতে পারেন যে, বিভিন্ন সংখ্যার উপর ক্লিক করলে সেই সংখ্যা না এসে Cell address কেন আসছে? এর লাভ কি? হ্যা এর অনেক লাভ আছে – এখানে Cell address টা Variable বা চলক হিসেবে ব্যবহার হয়। আমরা সবাই বীজগণিতের অংক করার সময় শিখেছি যে, সাধারণত X, Y, Z ইত্যাদি কে চলক হিসেবে ধরা হয়। চলক ধরার সুবিধা হল, এর মান ইচ্ছা মতো পরিবর্তন করা যায় বা করা সম্ভব। যেমন লক্ষ করুন: ১০০০+১০০০ সবসময়ই এর মান ২০০০ হবে কিন্তু আপনি যদি বলেন, X+Y=? যেখানে, X এর মান 1000 ও Y এর মান 1000, তাহলেও কিন্তু রেজাল্ট একই হবে অর্থাৎ ২০০০। কিন্তু আবার আপনি যদি বলেন X এর মান 1500 ও Y এর মান 100 , তাহলে রেজাল্ট কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাবে অর্থাৎ ১৬০০ হবে। কিন্তু আপনার সমীকরণ কিন্তু একই আছে। Excel এও অনুরূপ কারণে সংখ্যা এর বদলে Cell Address ব্যবহার করা হয় যেমন আমাদের করা একটি উদাহরণ লক্ষ করেন =B2 + C2 এর মান ৭০০০। আপনি এখন যদি ৫০০০ এর স্থানে ক্লিক করে ৮০০০ লিখে দেন তাহলে এটা ১০০০০ হয়ে যাবে।
ভাল থাকবেন। আজকে এটুকু।
No comments:
Post a Comment