Thursday, 20 August 2015

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (seo) এর A to Y পর্যন্ত টিউটোরিয়াল পোস্ট-৩১

মাঝেমাঝেই web analytics ডাটাগুলোর দিকে নজর দিন এবং লক্ষ করুন কোন strategy কাজ করছে এবং কোন strategy কাজ করছে না। যেটা কাজ করছে না সেটা বাদ দিন এবং সামনের দিকে অগ্রসর হোন ।
আজ আপনাদের সাথে Search Engine বিষয়ক সাহায্যের জন্য কিছু ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করবো, যেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন Strategy, Algorithm আপডেট এগুলো সর্ম্পকে জানতে পারবেন। Internet আসলে একটা বিশাল সমুদ্র, এখানে তথ্য খুবই সহজলভ্য এবং যে কেউ খুব সহজেই তা আহরণ করতে পারে। কিন্তু সমস্যাও আছে, এই বিশাল সমুদ্র থেকে সঠিক তথ্য খুজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ এবং এখানে অনেক ক্ষতিকারক তথ্যও আছে, যে কাজগুলো করলে হয়তো আপনার সাইটের Ranking এর ক্ষতি হবে।
SEO আসলে এমন একটি বিষয় যেখানে আপনাকে সবসময় আপডেটেড থাকতে এবং সার্চ ইঞ্জিন এর নতুন নতুন আপডেট সর্ম্পকে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। একারণেই আপনাকে খুবই সতর্ক ভাবে Updated এবং Reliable info collect করতে হবে। কোনভাবেই ভুল তথ্য এর পিছনে সময় এবং শ্রম নষ্ট করা যাবে না। এজন্যই আপনাদের সাথে আজ আমি কিছু সাইট শেয়ার করবো যেগুলো অনেক Reliable এবং আমিও এসব website এর blog follow করি। কারণ এখানে বিশ্বের নামকরা Seo specialist রা কাজ করেন। আসুন একে একে ওয়েবসাইটগুলোর নাম দেখে নিই। আপনারা অবশ্য অনেকেই এসব ওয়েবসাইটের নাম আগেই শুনেছেন।
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Guideline পাবেন আপনি Google এর কাছ থেকে এজন্য আপনি visit করতে পারেন:
http://www.google.com/webmasters/ –> এই সাইটে যাওয়ার পর নিচে Webmaster Resources পাবেন, এখান থেকে আপনি Guidelines, Help, Blog, Youtube এগুলো দেখতে পারেন। এর চেয়ে বিশ্বস্ত আর কিছু নেই। আর গুগল ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনে আপনি যে গাইড লাইন গুলো পাবেন তা সবসময়ের জন্য সত্যি।
http://googlewebmastercentral.blogspot.com/
http://googleblog.blogspot.com/
দ্বিতীয়ত আপনি Bing এর Webmasterদের Blog টাও দেখতে পারেন। এটাও আমার কাছে ভাল লাগে
http://www.bing.com/community/site_blogs/b/webmaster/default.aspx
Google এর Matt Cutts এর ব্লগ ও youtube channel দেখতে পারেন।
Blog: http://www.mattcutts.com/blog/
Youtube: http://www.youtube.com/user/MattCutts
খুবই জনপ্রিয় এবং Reliable সাইট Seomoz Follow করতে পারেন। আমি অবশ্য দেখেছি এই ব্লগটি Follow করলেই আপনি বিভিন্ন ধরনের গুগল আপডেট ও নিত্যনতুন SEO টিক্স সম্পর্কে জানতে পারবেন।
http://www.seomoz.org/blog
http://www.seomoz.org/ugc
তারপর SEOBook.com কে Follow করতে পারেন এর সুন্দর সুন্দর কিছু Begginer Level এর টিউটোরিয়াল আছে।
এরকম আরো কিছু সাইট: searchengineland.com – এই সাইটে সাধারণত প্রতিদিনই নতুন তথ্য পাবেন, কিন্তু সবগুলোই যে গুরুত্বপূর্ণ এরকম ভাবার কারণ নেই। আর আপনি যদি সব পড়েন এবং বিশ্বাস করেন তাহলে Information Overload হয়ে যাবে।
outspokenmedia.com/blog – এখানকার article এর লেখার মান খুব ভাল। এখান থেকে আপনি আর্টিকেল লেখার কৌশল সর্ম্পকে ধারণা নিতে পারবেন।
linkspiel.com – আপনি যদি শুধু Link Building technique শিখতে চান তাহলে এই সাইটটা দেখতে পারেন।
kaushik.net/avinash/ – Web Analytics সর্ম্পকে জানতে চাইলে, দেখতে পারেন।
আজ এ পর্যন্ত , ধন্যবাদ সবাইকে।

SEO এর ভবিষ্যৎ

SEO এর ভবিষ্যৎ

আপনারা যারা কমবেশি সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সাথে জড়িত আছেন। তারা প্রায় সবাই জানেন যে, সার্চ ইঞ্জিন তার টেকনিক বা এ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে এবং আস্তে আস্তে তা এখন অনেকটা পরিণত অবস্থায় এসে দাড়িয়েঁছে। এখন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর রেজাল্ট এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেজ খুব সহজেই খুজেঁ বের করতে পারি।

সার্চ ইঞ্জিন এর image search এর মাধ্যমে আমরা যে কোন image upload করলে ঐ রকম দেখতে অন্য image গুলো সার্চ ইঞ্জিন আমাদের খুজেঁ বের করে দেয়। কিন্তু তারপরেও আমাদের সাইট বানানোর সময় crawler friendly সাইট বানানো উচিৎ। কারণ এখনো সার্চ ইঞ্জিন javascript, flash, video ইত্যাদি object গুলো এখনো crawl করতে পারেনা, তাই সাইট বানানোর সময় যতটা পারেন এগুলো Avoid করুন।

আপনার হয়ত লক্ষ করেছেন, সার্চ ইঞ্জিন এখন কোন কিছু সার্চ করলে, আমাদের সামনে তার shopping result, social সাইট গুলোতে ঐ কিওয়ার্ড কোথায় আছে, বিভিন্ন online news site গুলোতে তার অবস্থান কি? ইত্যাদি তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। আপনি যদি গুগলে লগইন অবস্থায় থাকেন তাহলেতো কথাই নেই গুগল আপনার previous browsing history বিশ্লেষণ করে আপনার সামনে result উপস্থাপন করবে।

প্রথমে আমি একটা কথা বলেছিলাম, আবার এখনো সেই একই কথাই বলছি, আপনার সাইটে যদি relevant good content থাকে, তাহলে seo আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবেনা, যত ধরনের algorithm ই change হোক না কেন- এই কথাটা যেমন এখন থেকে ১০ বছর আগে সত্য ছিল, এখনও কথাটি ঠিক তেমন ভাবেই সত্য।
আমার মনে হয়, পোস্টটির অনেক সিরিজ হয়ে গিয়েছে এবং আমার জানা প্রায় সব তথ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি, তাই আপনাদের আর বেশি বিরক্ত না করে, আমার এই SEO সিরিজ এর এখানেই ইতি টানছি। আশা করছি আপনাদের উপকারে লাগবে। তবে সময় পেলে পরবর্তীতে Link Building Technique নিয়ে একটা সিরিজ টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা আছে। ভাল থাকুন, সবাইকে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এন্ড্রোয়েড স্টুডিও ব্যবহার করে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ তৈরির গাইড লাইন

অ্যান্ড্রোয়েডের অফিশিয়াল IDE হচ্ছে অ্যান্ড্রোয়েড স্টুডিও। যার মধ্যে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব টুল এক সাথে ইন্ট্রিগ্রেট করা রয়েছে। এন্ড্রোয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য তাই আমাদের প্রথমে এন্ড্রোয়েড স্টুডিও ডাউনলোড করে নিতে হবে। নিচে লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবেঃ
এন্ড্রোয়েড স্টুডিও ইন্সটল করার আগে আমাদের কম্পিউটারে জাভা ডেভেলপমেন্ট কিট ইন্সটল থাকতে হবে। Java Platform (JDK) ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে নিচের লিঙ্ক থেকেঃ
ডাউনলোড শেষে ইন্সটল করে নিব। যে কোন সাধারণ সফটওয়ারের মতই। তারপর ওপেন করব। ওপেন করলে নিচের মত করে একটা উইন্ডো ওপেন হবে। যেখান থেকে আমরা একটা এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট তৈরি করতে পারবঃ

Android Studio 1

আমরা শুরু করব Start a new Android Studio Project দিয়ে। তাহলে নিচের উইন্ডো দেখাবেঃ
Android Studio 2
এখানে এন্ড্রোয়েড অ্যাপটির নাম দিব। এবং Company Domain  নিজের কোন ডোমেইন থাকলে তা লিখব। না থাকলে আপাতত ডিফল্ট ভ্যালু রেখে নেক্সট এ ক্লিক করব। কারণ পরে তা পরিবর্তন করা যাবে। নিচের উইন্ডো দেখাবেঃ
Android Studio 3

এখানে আমাদের অ্যাপটি এন্ড্রোয়েডের কোন ভার্সন পর্যন্ত সাপোর্ট করবে তা ঠিক করব। এন্ড্রয়েডের অনেক গুলো ভার্সন রয়েছে। KitKat, Jelly Bean, Lollipop ইত্যাদি। আমাদের অ্যাপটি চালাতে মিনিমাম এন্ড্রয়েডের কোন ভার্সন লাগবে, তা সিলেক্ট করতে হবে এখানে। এখন ঠিক করতে না চাইলে পরেও তা আমরা পরিবর্তন করে নিতে পারব। তাই ডিফল্ট ভ্যালু রেখে নেক্সট এ ক্লিক করব। তাহলে নিচের উইন্ডো দেখাবেঃ

Android Studio 4

এন্ড্রোয়েড স্টুডিওতে অনেক গুলো বিল্টইন টেমপ্লেট রয়েছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য। আমরা সে গুলো ব্যবহার করে আমাদের অ্যাপ তৈরি করতে পারি। এখন আমরা সিম্পল একটা অ্যাপ তৈরি করব। তাই এখান থেকে Black Activity সিলেক্ট করে নেক্সট এ ক্লিক করব। তাহলে নিচের উইন্ডো দেখাবেঃ
Android Studio 5
এখানে আমাদের অ্যাপের এক্টিভিটির নাম লিখতে বলবে। আমরা চাইলে ডিফল্ট ভ্যালু রেখে Finish  এ ক্লিক করতে পারি। তাহলে আমাদের সদ্য তৈরি করা প্রজেক্টটি এন্ড্রয়েড স্টুডিওতে ওপেন হবেঃ

Android Studio 6

এখানে উপরের দিকে সব টুলবার, বাম দিকে আমাদের প্রজেক্ট ন্যাভিগেটর, তাপর Palette ন্যাভিগেটর, তারপর মেইন এরিয়া, ডানদিকে Component Tree সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব কিছু রয়েচ্ছে। আমরা আস্তে আস্তে এগুলোর সাথে পরিচিত হব।  উপরের মত যদি না দেখা যায়, মানে বাম দিকে যদি প্রজেক্ট ন্যাভিগেটর না দেখা যায়, তাহলে Alt + 1 কি প্রেস করলে প্রজেক্ট ন্যাভিগেটর দেখা যাবে। শুরুতে আমাদের জন্য দুইটা ফাইল দরকারী। একটা হচ্ছে আমাদের Layout ফাইল। আরেকটা হচ্ছে Java ফাইল।

Android Studio 7
প্রজেক্ট ন্যাভিগেটর থেক App কে এক্সপেন্ড করলে এর ভেতরে Manifests, Java, res ইত্যাদি ফোল্ডার গুলো দেখাবে। আমাদের MainAxtivity.java ফাইল পাওয়া যাবে Java ফ্লোডারে। আর activity_main.xml ফাইল পাওয়া যাবে res > layout ফ্লোডারের ভেতরে। আমরা আজ কোন কোড লিখব না। লে আউটেও কিছু যুক্ত করব না। শুধু ঠিক মত এনভারনমেন্টটা সেট আপ দিব।  এখন আমরা চাইলে আমাদের তৈরি করা অ্যাপটি রান করে দেখতে পারি। অ্যাপটি রান করালে লেখা উঠবেঃ Hello World!

এন্ড্রোয়েড অ্যাপ টেস্ট করার জন্য এন্ড্রোয়েড ডিভাইস লাগে। অথবা আমরা অ্যান্ড্রোয়েড ইমিউলেটর ব্যবহার করতে পারি। ইমিউলেটর এন্ড্রোয়েড স্টুডিও এর সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড করা রয়েছে। আমাদের ইমিউলেটরটা কনফিগার করে নিতে হবে। তার জন্য আমাদের Android Device Monitor ওপেন করতে হবে। তা পাওয়া যাবে উপরের দিকে টুলবারে। নিচের ছবিটি দেখিঃ
adm

এখানে ক্লিক করলে নতুন একটা উইন্ডো আসবে। সেখান থেকে Android Virtual Device Manager ওপেন করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখিঃ
avm

তাহলে নিচের মত করে  Android Virtual Device Manager ওপেন হবেঃ
avd manager

এখান থেকে Create  এ ক্লিক করব। তাহলে আমরা একটা এন্ড্রয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইস তৈরি করতে পারব। যেখানে আমরা আমাদের অ্যাপ টেস্ট করতে পারব। প্রয়োজন মত তথ্য দিয়ে আমরা ভার্চুয়াল ডিভাইজ তৈরি করে নিব। যেমন আমি নিচের মত করে কনফিগার করেছিঃ
create avd

এরপর ওকে ক্লিক করব। কাজ কমপ্লিট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপর সদ্য তৈরি করা এন্ড্রোয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইসটি সিলেক্ট করে Start করবঃ
start adv

এন্ড্রোয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইস বা ইমিউলেটর ওপেন হতে অনেক সময় নিবে। ওপেন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। lollipop emulator

এখন হয়তো আমরা দেখব পুরো স্কিন জুড়ে ইমিউলেটর। ঠিক মত ন্যাভিগেট করা যাচ্ছে না। এটা আমরা ফিক্স করতে পারি। যখন ইমিউলেটর স্টার্ট করব, তখন  Scale Display to real size এ চেক করে দিলেই মনিটরে ভার্চুয়ালটি ছোট করে দেখাবে। নিচের ছবিটি দেখিঃ
lunch avd


আচ্ছা, এখন আমরা আমাদের অ্যাপটি রান করে দেখতে পারি। তার জন্য রান বাটনে ক্লিক করলেই হবে। অথবা উপরের মেনু বার Run থেকে Run this app সিলেক্ট করলে রান হবে। অথবা Shift + 10 প্রেস করেও রান করা যাবে। রান করলে আমাদের ইমিউলেটর সিলেক্ট করতে বলবে। নিচের মত উইন্ডো দেখাবেঃ

run android app

ইমিলেটর বা ভার্চুয়াল ডিভাইস যদি রান করা থাকে, তাহলে উপরে লিস্ট দেখাবে। যদি কোন ইমিউলেটর রান করানো না থাকে, তাহলে Lunch emulator থেকে আমরা একটা ইমিলেটর সিলেক্ট করে দিতে পারি। তাহলে অ্যাপটি ঐখানে রান করবে। আর সব ঠিক ঠাক মত হলে নিচের মত করে আমাদের Hello World! অ্যাপটি দেখাবেঃ

hello world android

আমাদের যদি একটা এন্ড্রয়েড সেট থাকে, তাহলে আমরা সরাসরি এন্ড্রয়েড সেটে আমাদের অ্যাপটি রান করে দেখতে পারি। তার জন্য প্রথমে আমাদের Google USB Driver ইন্সটল করে নিতে হবে। তার জন্য Android SDK Manager ওপেন করতে হবে। তা পাওয়া যাবে Tools > Android > SDK Manager মেনু থেকে। অথবা টুলবারে থাকা SDK Manager  আইকন থেকেও ওপেন করা যাবে… ওপেন করলে নিচের মত করে SDK Manager ওপেন হবেঃ


sdk manager
এখান থেকে Google USB Drive চেক করে ইন্সটল করে নিতে হবে। ইন্সটল করার পর যে মোবাইলে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ টেস্ট করা হবে, তার ডেভেলপার সেটিং অন করতে হবে। Settings এ গেলে Developer Options নামে একটা সেটিং রয়েছে। যদি তা না থাকে, তাহলে About Phone এ গিয়ে Build Number এ কয়েক একটানা টাচ করতে হবে। তাহলে Developer Settings অন হবে। Developer Settings এ গিয়ে USB Debugging চেক করে দিলে আমরা আমাদের এন্ড্রোয়েড ফোনে আমাদের অ্যাপ টেস্ট করতে পারব।Screenshot_2015-02-04-03-27-49

মোবাইলটি এভাবে USB দিয়ে কম্পিউটারে কানেক্ট করতে হবে। এরপর আমাদের অ্যাপটি রান করালে ঐখানে মোবাইলটি দেখাবে। মোবাইল সিলেক্ট করে দিলে মোবাইলে অ্যাপটি রান হবে। বলে রাখা ভালো, ইমিউলেটর থেকে রিয়েল ডিভাইসে অ্যাপ টেস্টিং সহজ। এবং সময় ও কম লাগে।

কিছু সমস্যা এবং সমাধান… 

এখন ইমিউলেটর তৈরি করতে গেলে দুই একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটা ইরর হচ্ছে intelhaxm ইরর। ইমিউলেটর ওপেন করতে গেলে ইরর দেখাবে। আর তার জন্য আমাদের Intel x86 Emulator Accelerator বা HAXM ইন্সটল করতে হবে। তার জন্য SDK Manager ওপেন করতে হবে। এবং ঐখান থেকে Intel x86 Emulator Accelerator টি চেক করে ইন্সটল কর নিতে হবে।
এরপর ইমিলেটর স্ট্রার্ট করতে পারার কথা। যদি এরপর ও ইমিলেটর রান করতে সমস্যা দেখা, তাহলে বুঝতে হবে intel haxm ঠিক মত ইন্সটল হয় নি। আর তা ম্যানুয়ালি ইন্সটল করে নিতে হবে। ম্যানুলাই করার জন্য তো ফাইলটি খুজে পেতে হবে তাই না? ফাইলটি পাওয়া যাবেঃ
SDK Folder এর ভেতরে। আর SDK ফোল্ডারটি পাওয়া যাবে। AppData এর ভেতরে। সি ড্রাইভে গিয়ে User ফোল্ডারের ভতরে আপনার কম্পিউটারের ইউজার নামে একটা ফোল্ডার রয়েছে, ঐখানে AppData ফোল্ডারটি পাওয়া যাবে। AppData ফোল্ডারটি হাইড করা থাকে, তাই দেখতে হবে ফোল্ডার হাইড অপশন অফ করা আছে কিনা। যেমন আমার জন্য intelhaxm-android.exe ফাইলটির লোকেশন নিচের মত করেঃ
C:\Users\Jakir\AppData\Local\Android\sdk\extras\intel\Hardware_Accelerated_Execution_Manager

intelhaxm-android.exe ইন্সটল ঠিক মত করতে পারলে ইমিউলেটর রান হবে। যদি intelhaxm-android.exe ইন্সটল করতে সমস্যা হয়, তাহলে আরেকটা সমস্যা। আর তা সমাধান করার জন্য Control Panel এ গিয়ে Program and Features  এর বাম পাশ থেকে Turn Windows Features on and Off এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের মত করে সকল উইন্ডোজ দেখাবে।

hyper-v disable in windows

স্ক্রোল করে Hyper-v খুজে বের করে তা আনচেক করতে হবে। এবং ওকে ক্লিক করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে বলবে। কম্পিউটার রি স্টার্ট করার পর এন্ড্রয়েড স্টুডিও ওপেন করে এবার ইমিউলেটর রান করিয়ে দেখলে দেখা যাবে এবার ঠিক মত ইমিউলেটর রান হচ্ছে…
এরপর ও যদি intelhaxm-android.exe ইন্সটল করতে সমস্যা দেখায়, তাহলে কম্পিউটারের BIOS সেটিং এর Advanced সেটিং থেকে Hyperthreading টা Enable করতে হবে। এক একটা কম্পিউটারের BIOS সেটিং এর জন্য এক এক কী প্রেস করতে হয়। F1 থেকে F12 কী গুলোর যে কোন একটি হয় সাধারণত। তারপর ঐখান থেকে Hyperthreading টা Enable করে কম্পিউটার রিস্টার্ট করে তারপর ইন্সটল করে নেওয়া যেতে পারে। আমি আমার কম্পিউটারের BIOS সেটিং এর স্কিনসর্ট শেয়ার করলামঃ
Hyperthreading
হয়তো আরো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঐ গুলো যদি কমেন্টে বলেন, কিভাবে সমাধান করতে হয়, তা বলে সাহায্য করতে পারব…
যদি এভাবে কাজ না করে, মানে ইমিউলেটর তৈরি করতে সমস্যা হয়, তাহলে Genymotion ব্যবহার করা যেতে পারে। Genymotion ইন্সটল করে যত ইচ্ছে তত গুলো ইমিউলেটর তৈরি করা যেতে পারে। ডাউনলোড লিঙ্কঃ
ধন্যবাদ সবাইকে।

এন্ড্রোয়েড এপলিকেশন তৈরি শুরু করার জন্য প্রাথমিক টিউটোরিয়াল ও গাইড লাইন।

অ্যান্ড্রোয়েডের অফিশিয়াল IDE হচ্ছে অ্যান্ড্রোয়েড স্টুডিও। যারা Eclipse পছন্দ করেন, তারা এটি ফলো করতে পারেন। ভালো হয় যদি  অ্যান্ড্রোয়েড স্টুডিও ব্যবহার করেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য। সেখানে অনেক সুন্দর কিছু ফিচার রয়েছে। তার জন্য নিচের টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেনঃ
কোন কিছু শুরু করার আগে অনেক গুলো মিথ্যে ধারনার কারনে শুরু করাই হয় না। এন্ড্রোয়েড এপলিকেশন ডেভলপ করা শিখব, তখন চিন্তা করলাম আমার তো এন্ড্রোয়েড ফোন নেই তাহলে এপলিকেশন টেস্ট করব কিভাবে? তাই যতদিন না এন্ড্রোয়েড কিনতে পারছি ততদিন এন্ড্রোয়েড এপ তৈরি করা শিখাও বন্ধ গোষণা করছি। ফোন কেনার পর যখন শেখা শুরু করছি, তত দিনে বুঝে গেছি যে এপলিকেশন তৈরি করার জন্য এন্ড্রোয়েড ফোন লাগে না। ভার্সুয়াল ইমিউলেটর থাকে যা দিয়ে এপলিকেশনটি টেস্ট করা যায়। আপনারা হয়তো লেখা পড়ে হাসতে পারেন, কি বোকামি করছি তাই না? যাইহোক, আপনার যদি এন্ড্রোয়েড ফোন থাকে তাহলে ভালো কথা, না থাকলে মন খারাপ করার দরকার নেই। ভার্সুয়াল ডিভাইস/ ইমিউলেটরেই মজা পাবেন। বিদ্রঃ কোন  ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন, আর সমস্যায় পড়লে মন্তব্যের মাধ্যমে জানালে আমি উত্তর দিতে পারব। সাথে সাথেই আমি ইমেইলের মাধ্যমে আপনার মন্ত্যব্য পেয়ে যাবো। তাই শুরু করার পথে কোন সমস্যায় পড়ে থেমে না গিয়ে চেষ্টা করবেন আশা করি :)
এন্ড্রোয়েড এপলিকেশন তৈরি শুরু করার প্রথম ধাপ গুলো একটু কঠিন লাগতে পারে অনেকের কাছে। কয়েকটি জিনিস এক সাথে সেট করতে হয়। Android SDK, ADT Plugin, ভার্সুয়াল ডিভাইস এবং IDE হিসেবে Eclipse। Eclipse নিয়ে আগে একটি পোস্ট লিখছি, তা দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।
Eclipse এর পর  Android SDK ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। তার জন্য ভিজিট করুনঃ
SDK ডাউনলোড পেইজে গেলে Android Studio ডাউনলোড করতে বলবে। এর নিচেই Other Download Options পাবেন।
sdk download
Other Download Options  থেকে  SDK Tools Only তে ক্লিক করে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের জন্য Android SDK ডাউনলোড করে নিন। ভালো হয় EXE টা ডাউনলোড করলে। Zip টা ডাউনলোড করলেও হবে। ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে।
এরপর Android SDK Manager ওপেন করে  API গুলো ইন্সটল করে নিন। সব গুলো ইন্সটল হতে অনেক সময় লাগবে, বুদ্ধি হচ্ছে ইন্সটল দিয়ে ঘুমুতে যাওয়া। ঘুম থেকে উঠে দেখবেন সব ইন্টল হয়ে আছে। আর সব গুলো না পারলে অন্তত এন্ড্রোয়েড লেটেস্ট যে কোন একটা ভার্সনের API ইন্সটল করে নিন।

Environment Variable এ SDK পাথ যুক্ত করাঃ


এরপরের কাজ হচ্ছে Environment Variable এ SDK পাথ যুক্ত করা। তার জন্য Computer এর Properties থেকে Advance System settings > Environment Variable > PATH এ ক্লি করে Edit করে  Android SDK ফোল্ডারের পাথ এবং Android SDK tools পাথ এখানে যুক্ত করে দিতে হবে। path settings
যেখানে SDK ইনস্টল হয়েছে, তাই হচ্ছে পাথ। যেমনঃ
C:\Users\Jack\AppData\Local\Android\android-sdk
এবং C:\Users\Jack\AppData\Local\Android\android-sdk\tools

Eclipse এ ADT Plugin  যোগ করাঃ


Android SDK এবং API ইন্সটলের পরের কাজ হচ্ছে Eclipse এ ADT Plugin  যোগ করা। Installing the Eclipse Plugin পেইজে গিয়ে বিস্তারিত দেখতে পারেন।
তার জন্য, Eclipse এর Help menu থেকে  Add এ ক্লিক করুন
    • Eclipse  এর মেনুবার থেকে Help > Install New Software…. এ ক্লিক করুন।
    • Add এ ক্লিক করুন 
[top-right corner এ পাবেন]
  •  Add Repository dialog আসবে সেখানে নামের ঘরে “ADT Plugin” এবং Location এর ঘরে এ লিঙ্কটা এড করেনঃ  https://dl-ssl.google.com/android/eclipse/
  • Click OK
নিচের ছবিটি দেখুন, ছবিতে ক্লিক করলে বড় করে ওপেন হবে।
  • ওকে করার পর কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। তারপর Available Software থেকে Developer Tools ক্লিক করে Next করুন।
পরের  window তে আপনি অনেক একটি লিস্ট দেখতে পাবেন যে tools  গুলো ডাউনলোড করতে হবে, এখান থেকে Developer Tools টি সিলেক্ট করুন। আবার Next এ ক্লিক করুন এবং accept the license agreements এ ক্লিক করে Finish  করুন। তাহলে সফটওয়ার গুলো ডাউনলোড হবে। ডাউনলোড শেষে Eclipse রিস্টার্ট করে নিন। আপনার Eclipse তে Android এর কিছু সুবিধে যোগ হবে এতে।
এবার আপনি Android App তৈরি করার জন্য প্রস্তুত।
অ্যাপ তৈরির আগে আমরা একটি এন্ড্রোয়েড ভার্সুয়াল ডিভাইস/ইমিউলেটর তৈরি করে নি।  তার জন্য  Eclipse এর আইকন নেভিগেশন মেনু থেকে Android Virtual Device Manager ওপেন করুন।
তাহলে Android Virtual Device Manager ওপেন হবে। ঐখানে এখনো কোন Android Virtual Device নেই কারন আমরা তৈরি করি নি। একটা তৈরি করার জন্য New তে ক্লিক করুন।
  • প্রথমে আপনার ডিভাইসের একটা নাম দিন, যেমনঃ JellyBean [ কোন স্পেস থাকতে পারবে না]
  • Target থেকে এন্ড্রোয়েডের কোন ভার্সনের ভার্সুয়াল ডিভাইস তৈরি করবেন তা ঠিক করুন। আমি 4.1 সিলেক্ট করলাম।
  • SD Card অংশ থেকে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইসের জন্য কতটুকু স্টোরেজ দিবেন তা দিন। ১ জিবি- আপনার হার্ডিস্কের ক্ষমতা অনুযায়ী দিতে পারেন।
  • অন্যান্য গুলো আপাতত ডিফল্ট হিসেবে রাখুন।  তারপর Create AVD তে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার জন্য একটা ভার্সুয়াল ডিভাইস তৈরি হয়ে হবে।
  • এবার ভার্সুয়াল ডিভাইসটি সিলেক্ট করে Start এ ক্লিক করুন এবং লঞ্চ করুন। তাহলে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইস ওপেন হবে। দেখুন আমার ভার্সুয়াল Jelly Bean :)
  • আপনি Ctrl+F11 চেপে স্কিন রোটেট করতে পারবেন।
আমাদের এন্ড্রোয়েড ভার্সুয়াল ডিভাইস রেডি। এবার প্রথম প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারি।   Open a wizard to help create a android application এ ক্লিক করুন।
তারপর আপনার এপলিকেশনের নাম দিন। প্রজেক্ট এবং Package Name এর নাম দিন। তারপর নেক্সট এ ক্লিক করুন। Configure Launcher Icon থেকে আপনার পছন্দের আইকন এবং রঙ দিন। কিছু না দিলে ডিফল্ট মান ব্যবহার করা হবে। এভাবে নেক্সট করে ফিনিস করুন। তাহলে আপনার জন্য একটা টেস্ট এপলিকেশন তৈরি হবে। এবার আপনার ইচ্ছে মত কোড লেখার জন্য তৈরি হয়ে গেছে। আপনাকে প্রথমে XML layout এর গ্রাফিক্যাল লেয়াউট দেখাবে।  কোড দেখতে চাইলে নিচের দিক থেকে activity_main.xml এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।  Eclipse এর Package Explorer এ আপনি যদি আপনার এপলিকেশনের ফাইল দেখেন তাহলে অনেক গুলো ফাইল দেখতে পাবেন।  ঐখানে অন্যান্য জাভা ফাইল, ক্লাস ফাইল এবং লাইব্রেরী গুলো রয়েছে। আস্তে আস্তে ঐগুলো জানার চেষ্টা করুন ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে। http://developer.android.com/develop/index.html ভিজিট করলে অনেক কিছু পাবেন। আর Android development / Android app Development tutorial লিখে সার্চ করলে হাজার টিউটোরিয়াল আপনার সামনে চলে আসবে। বাংলা টিউটোরিয়ালের অপেক্ষায় না বসে থেকে ইংরেজী গুলো থেকে শেখা শুরু করুন।
সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা চেক করার জন্য  Eclipse এর Run বাটনে ক্লিক করুন। এবং Android Application সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনার ভার্সুয়াল ডিভাইসে আপনাকে আপনার প্রথম টেস্ট এপলিকেশন দেখাবে।
স্বাগতম এন্ড্রোয়েডে এপলিকেশন ডেভলপমেন্টের দুনিয়ায় :) আশা করব সুন্দর কিছু এপলিকেশন তৈরি করতে পারবেন আমাদের জন্য। নিচের লিঙ্ক গুলো ভিজিট করতে ভুলবেন না।
আমি চেষ্টা করব আরো কিছু ভিডিও টিউটোরিয়ালের লিঙ্ক দিতে। YouTube এ গিয়ে আপাতত Android App Development / Android Games Development ইত্যাদি লিখে সার্চ করে দেখা শুরু করুন। পরবর্তিতে আমি ওয়েব টেকনলজি ব্যবহার করে মোবাইল এপলিকেশন তৈরি নিয়ে লিখব ইনশাহ আল্লাহ। একটা অনুরোধ করব, আপনার কেমন লাগলো, কিভাবে আমার লেখা উচিত তা জানিয়ে মন্তব্য করুন প্লিজ। তাহলে বুঝতে পারব কারো কাজে আসবে লেখাটি। টেকটুইটস এ ফেসবুকের মাধ্যমেও মন্ত্যব্য করা যায়।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।