আজ আমি আপনাদের সাথে জনপ্রিয় ব্লগ ও
কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি
কমবেশি সবাই আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস শব্দটির সাথে পরিচিত এবং এটা দিয়ে কি কি
কাজ করা যায় তাও জানেন, তারপরেও আমি অল্প কিছু কথা এ বিষয়ে আপনাদের সাথে
শেয়ার করবো এবং চেষ্টা করবো ধারাবাহিক ভাবে আপনাদেরকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে
জানাতে যেমন: কিভাবে এটি সেটআপ দিবেন, কিভাবে নতুন থিম ইনস্টল করবেন,
কিভাবে নতুন প্লাগিন ইনস্টল করবেন সর্বোপরি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কিভাবে
আপনারা একটি সাইট তৈরি করতে পারেন আমরা সে বিষয়গুলিই দেখবো।
Open Source CMS Market Share এর রিপোর্ট
অনুযায়ী ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত Blog ও CMS(content
management system). এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব যেমন
বিজনেস, পার্সোনাল, এডুকেশনাল, পোর্টফলিও, গ্রুপ ব্লগ ও আরো অনেক
ক্যাটাগরির সাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায় এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর সাইট আপডেট ও
মেইনটেন করাও অনেক সহজ। ওয়ার্ডপ্রেস Apache ও IIS দুই ধরনের সার্ভারেই
হোস্ট করা যায়।
কেন ওয়ার্ডপ্রেস পছন্দ করবেন?
ওয়ার্ডপ্রেস PHP ও MySql দিয়ে তৈরি করা
এমন একটি প্লাটফর্ম বা CMS যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন ওয়েব ইন্টারফেস
(যেমন: আমরা Microsoft word এ কাজ করে থাকি) এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয়
content edit করতে পারবেন এবং যদি আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পারেন তাহলে
আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের Interface এও কাজ করতে সমস্যা হবার কথা নয়। এছাড়াও
মানুষজন Joomla, Drupal এগুলোও ব্যবহার করে থাকে।
প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং টুল হিসেবে
যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ডেভেলপাররা যখন এতে Pages অপশন যোগ করলো, তখন
থেকেই একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। যে সমস্ত মানুষ ব্লগ তৈরি করতে
চায়না, কিন্তু খুব সহজেই তাদের ওয়েব কন্টেন্ট গুলো ম্যানেজ করতে চায়, তারা
ওয়ার্ড প্রেস ব্যবহার করা শুরু করলো। যদিও এখনো ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্লগিং টুল
হিসেবে বিবেচনা করা হয় তারপরেও অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেসকে অন্যান্য CMS এর চেয়ে
বেশি প্রাধান্য দেয়। এর কারণ হিসেবে বলা যায়:
Setup দেয়া খুবই সহজ:
- WordPress বিখ্যাত হওয়ার একটা অন্যতম কারণ হল এর 5minutes ইনস্টলেশন Procedures. এমনকি আপনার যদি আগে থেকেই Database তৈরি করা থাকে, তাহলে হয়তো আপনার দুই মিনিটও লাগবে না। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে অনেকধরনের বেসিক অপশন আগে থেকে সেট করা থাকে এর মধ্যে কিছু অপশন হল:
- Post and Pages: ওয়ার্ডপ্রেসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যার মাধ্যমে আপনারা ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন ধরনের পেজ Graphical User Interface এর মাধ্যমে করতে পারবেন। অনেকটা WYSIWYG(what you see is what you get ) Editor এর মত।
- Media file: এর মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন পেজ বা পোস্টএ images, audio, video, office doucments, PDFs এবং আরো অনেক ধরনের ফাইল যোগ করতে পারবেন।
- Links: ওয়ার্ডপ্রেসে আগে থেকেই Link Directory তৈরি করা আছে, যেটাকে blogroll বলা হয়।
- Categories and Tags: আপনি আপনার ওয়েবসাইট সুন্দর ভাবে Organize করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট বা পোস্টগুলোকে বিভিন্ন ভাবে categorize করতে পারেন। আপনার পোস্টে Tag যোগ করতে পারেন। ফলে আপনার পোস্টগুলো আরো বেশি সহজে খুজে পাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনি Category ও tags ব্যবহার করে আপনার site url structure change করতে পারেন।
- User roles and profiles: আপনি আপনার ওয়েবসাইটের user দের জন্য বিভিন্ন ধরনের Role সেট করতে পারেন। ফলে সব ইউজাররা সব কাজ সমান ভাবে করতে পারবে না। যেমন: আপনি হয়ত চাচ্ছেন আপনার সাইটে নতুন রেজিষ্ট্রেশনকারীরা যদি কোন লেখা দিতে চায় তাহলে সে যেন নিজে নিজে কোন লেখা Publish করতে না পারে, সেক্ষেত্রে আপনি তার একটি রোল সেট করে দিতে পারেন, আবার আপনি যদি চান যে অন্য কেউ নিজের লেখা নিজেই পাবলিশ করতে পারবে, কিন্তু সে ঐ ওয়েবসাইটের অন্য কোন লেখকের পোস্টে কোন প্রকার পরিবর্তন করতে পারবে না, তাহলে আর এক ধরনের পারমিশন সেট করতে পারেন।
- Feed: বিভিন্ন ধরনের ফিড এর অপশন আগে থেকেই তৈরি করা আছে।
- Seo Friendly Permalink: ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি আপনার প্রয়োজনমত link structure তৈরি করে নিতে পারেন, যা আপনার সাইটকে SEO optimize করতে সুবিধা করবে।
- Spam Protection: ওয়ার্ডপ্রেসে আগে থেকেই comment filter করার plugin setup দেয়া আছে।
চলুন ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা কয়েকটি সাইট এর উদাহরণ দেখি:
কেমন লাগলো উপরের ওয়েবসাইটগুলো? অবশ্য স্থান সল্পতার জন্য ওয়েবসাইটগুলোর নিচ পর্যন্ত Screenshot দেয়া সম্ভব হলো না। কেমন লাগলো জানাবেন, চলবে….
No comments:
Post a Comment