গ্রাফিক্স ডিজাইন কী ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ছবি, রং, স্পেস ও হরফের সমন্বয়ে দর্শকের সাথে দৃশ্যগত যোগাযোগ স্থাপন করে। গ্রিক Graphikos শব্দ হইতে গ্রাফিক্স শব্দটি এসেছে। যার অর্থ কোন পৃষ্ঠে রেখা টানা বা ড্রইং করা।গ্রাফিক্স অর্থ রেখার ভিত্তিতে কোন নকশা প্রণয়ন করা।যা পরবর্তীতে ছাপা বা প্রকাশের জন্য তৈরী করা হয়।
গ্রাফিক্স দুই প্রকার
1. Raster Graphics : Photoshop এর জন্য
2. Vector Graphics : Illustrator এর জন্য
গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রঃ
১) প্রিন্টিং।
২) ওয়েব।
৩) ইলেকট্রনিক মাধ্যম।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্র তিনটি ধারা কী কী তৈরী করা যায় সেটা সর্ম্পকে জানব।
১) প্রিন্টিং – পোষ্টার, বিলবোর্ড, বই, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি।
২) ওয়েব – ওয়েব ব্যানার, ইন্টারফেস ডিজাইন ইত্যাদি।
৩) ইলেকট্রনিক মাধ্যম – নাটক, টিভি বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র ইত্যাদি।
-------------------------------------------------------------------------------
গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্ষেত্র সমূহ ঃ
সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন যে দুটি সফটওয়্যার বেশি ব্যবহার হয় সে দুইটি হল
১) Adobe Photoshop
২) Adobe Illustrator
যাদের কাছে নাই তারা ইনস্টল করে নিবেন।
এডোবি ফটোশপ
ফটোশপ কি?
ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে এডবি ফটোশপকে বলা হয় ইন্ডাষ্ট্রি ষ্ট্যান্ডার্ড। মোট কথা হল ভিজুয়্যাল এমন কোন কাজ নেই যেখানে ফটোশপের প্রয়োজন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, ভিজুয়্যাল ইফেক্টস সহ সকল ক্ষেত্রে ফটোশপ ব্যবহার অনিবার্য।
ফটোশপ ইন্টারফেইস
এবার জানবো ফটোশপ ইন্টারফেইস এর নামসমূহ এবং তাদের ব্যবহারবিধি।
যখনই ফটোশপ ওপেন করবো উপরোক্ত ছবির মতো দেখতে পাবো।
১) MAIN MENU : পর্দার উপরে তাকান আপনি মেনু বার দেখতে পাবেন, যা ফটোশপের সমস্ত প্রধান ফাংশন যেমন ফাইল, সম্পাদনা, চিত্র, লেয়ার, প্রকার, নির্বাচন, ফিল্টার, বিশ্লেষণ, 3D , দেখুন, উইন্ডো এবং সাহায্য বিদ্ধমান থাকে।
২) TOOLBAR : এটি একটি শিল্পীর কাজের টেবিলের মতো, টুলবারটি ফটোশপ সরঞ্জামগুলি ধারণ করে। এটি ফটোশপের ইন্টারফেসের বাম পাশের লম্বা, সঙ্কোচিত প্লেটটিতে রয়েছে। যা আপনি আপনার ছবিতে কাজ করার সময় ড্র, আঁকা, মুছতে এবং অন্য কিছু করতে পারবেন।
৩) PALETTES : প্যালেটস প্লেটগুলি এমন ফাংশন ধারণ করে যা আপনাকে চিত্রগুলি নিরীক্ষণ ও সংশোধন করতে সহায়তা করে। ডিফল্টরূপে, প্যালেটগুলি গ্রুপগুলিতে একত্রিত করা হয়। এই হল প্যালেট যা সাধারণত দৃশ্যমান হয়: রঙ, সামঞ্জস্য এবং স্তরসমূহ।
৪) IMAGE NAME : এটি মূলত আপনার ডোকুমেন্টের নাম কে বুঝায়। অনেকে ইহাকে ফাইল নাম ও বলে থাকি।
৫) IMAGE : এটাই আপনার মূল কর্ম ক্ষেত্র। যদিও এর বাংলা অনেকেই ছবি বলে থাকি। আসলে এটা হচ্ছে আপনি যেখানে কাজ করবেন সেটা। হতে পারে ছবি এডিট করা, কোন ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা ইত্যাদি।
৬) COLOR : এটি একটি প্যালেটস। ফটোশপে বিভিন্ন রং এর সামঞ্জস্যতা আনার জন্য ইহা ব্যবহার করা হয়।
৭) HISTORY : এই প্যালেটস হল ফটোশপের মাধ্যমে আপনি যে সমস্ত কাজ করবেন তার একটি লগ। ডিফল্টরূপে, HISTORY প্যালেটটি আপনার কাজের শেষ ২0 টি পরিবর্তন রেকর্ড তৈরি করে রাখে। প্রতিবার যখন আপনি ছবিটির পরিবর্তন করবেন, তখন একটি নতুন একটি HISTORY প্যালেটে যুক্ত হবে।
৮) LAYERS : ফটোশপের সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির একটি, কারণ কাজের পৃথক স্লাইস তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে। লেয়ারের সাহায্যে, আলাদা আলাদা কোন কিছু আঁকতে, সম্পাদনা করতে, পেস্ট করতে এবং পুনঃস্থাপন করতে পারেন।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গত পর্বে আমরা জেনেছি ফটোশপের ইন্টাপেইস কেমন এর নাম এবং ব্যবহারবিধি। ফটোশপের ৩টি জিনিস খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হল :
১) MENU BAR
২) TOOLBAR
৩) PALETTES
MENU BAR
গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০২ তে আমরা জেনেছি MENU BAR কি এবং ইহা কোথায় ও কি কাজে ব্যবহার করতে হয়। আজকে আমরা শিখবো MENU BAR এর ১০টি মেনু গুলো কি কি এবং এর ব্যবহারবিধি :
File : ফাইল মেনুটি অনেকটা আপনি যে ভাবে একটি ফাইল ব্যবহার করেন তেমনিই। ইহা আপনি কোন ডুকোমেন্টের সংরক্ষণ, খোলা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, একটি ডুকোমেন্টে আরেকটি ডুকোমেন্টের আদান প্রদান এবং মুদ্রণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Edit : এই মেনুতে পুরানো-সজ্জা অনুলিপি, কাট এবং পেস্ট কমান্ডগুলি অবস্থিত। এছাড়াও আপনি মেনুতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন সেটিংস কমান্ড আছে, পছন্দসমূহ (উইন্ডোজ) সহ।
Image : আপনি ইমেজ মেনুটি সর্বদা ব্যবহার করেন যখন আপনি ছবির পরিবর্তন করতে চান, একটি রঙ মোড পরিবর্তন করা বা চলাচল করা, ঘূর্ণায়মান করা এবং ছবিটির আকার পরিবর্তন করা।
Enhance : ইহার দ্বারায় একটি ছবির চেহারা, যেমন তার উজ্জ্বলতা এবং বৈসাদৃশ্য পরিবর্তন, তার রং এবং আলো সামঞ্জস্য, এবং কিছু অন্যান্য স্মার্ট ফিক্স আপ কাজ করে তার চেহারা উন্নত করা যাবে। বর্ধিতকরণে রঙ সাবমেনু সামঞ্জস্য করুন, আপনি বিভিন্ন ধরনের আদেশগুলি পাবেন যা আপনাকে বিভিন্ন রঙ সমন্বয় প্রদান করে।
Layer : একটি ছবিকে খুব ভালভাবে এডিটিং করার লেয়ার এর ব্যবহার করা হয়। ইহা দিয়ে আলাদা আলাদা স্তর তৈরি করে কাজ করে একটি ছবিকে আরো নিখুতভাবে করতে পারবেন।
Select : লেয়ারের সমান গুরুত্ব হল সিলেক্ট মেনু। সিলেক্ট মেনুতে কমান্ডগুলো ব্যবহার করে একটি ইমেজের আলাদা আলাদা অংশ ধরে এডিটিং করা যায়। ছবির কোন অংশ কে আলাদাও করতে পারবেন।
Filter : ফিল্টার মেনু হল যেখানে অনেক ধরনের পেশাদার ফোটোগ্রাফিক কমান্ড কৌশল খুঁজে পাবেন। এছাড়াও ইহার দ্বারায় একটি ছবিকে সূক্ষ্ম থেকে আরো সূক্ষ্ম করে এডিটিং করা যায়।
View : ভিউ মেনু দিয়ে ডুকোমেন্টকে বড় ছোট করে দেখা যায়। এছাড়াও grid, exposing horizontal and vertical rulers, adding annotations এবং ডুকোমেন্টের Print এর মাপগুলো দেখা যায়।
Window : ফটোশপে সহজে কাজ করার জন্য প্লেট রয়েছে এগুলো বেশির ভাগ Window মেনুতে থাকে। কাজের প্রয়োজনে খোলা কাজে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। এই মেনুটি ফটোশপের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Help : ফটোশপে কর্তৃপক্ষের যাবতীয় সাহায্য সহযোগীতার জন্য হেল্প ব্যবহার করা হয়।
আজ এই পর্যন্ত, আগামী পর্বে আমরা শিখবো TOOLBAR এবং PALETTES কী ও এর ব্যবহারসমূহ। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আজকে আমরা শিখবো PALETTES এর নাম এবং ব্যবহার সম্পর্কে :
INFO PALETTE : এই প্যালেট টি ডুকোমেন্টের Color Mode , Size, Hight and Width ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য প্রদান করে।
COLOR PALETTE : ফটোশপে বিভিন্ন রং এর সামঞ্জস্যতা আনার জন্য ইহা ব্যবহার করা হয়।
HISTORY PALETTE : এই প্যালেটস হল ফটোশপের মাধ্যমে আপনি যে সমস্ত কাজ করবেন তার একটি লগ। ডিফল্টরূপে, HISTORY প্যালেটটি আপনার কাজের শেষ ২0 টি পরিবর্তন রেকর্ড তৈরি করে রাখে। প্রতিবার যখন আপনি ছবিটির পরিবর্তন করবেন, তখন একটি নতুন একটি HISTORY প্যালেটে যুক্ত হবে।
LAYERS PALETTE : ফটোশপের সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির একটি, কারণ কাজের পৃথক স্লাইস তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে। লেয়ারের সাহায্যে, আলাদা আলাদা কোন কিছু আঁকতে, সম্পাদনা করতে, পেস্ট করতে এবং পুনঃস্থাপন করতে পারেন।
NAVIGATOR PALETTE : ডুকোমেন্টের কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় বড় ছোট করতে হয়। সে যখন বড় ছোট করলে এটি ডুকোমেন্টের মূল ভিউ বা কোন অবস্থানে আছে সেটা দেখায়।
ADJUSTMENTS PALETTE : ডুকোমেন্টের নিখূত ডিজাইন বা এডিটিং করা জন্য কিছু আইকোন এর মধ্যে বিদ্যমান থাকে। যেমন Levels, Curves, Hue & Saturation, Selective color, Channel Mixer ইত্যাদি।
CHARACTER PALETTE : এটি ডুকোমেন্টের যাবতীয় লেখা কাজে ব্যবহার করা হয়। যাবতীয় লেখা জন্য ফন্ট স্টাইল, ফন্টের সাইজ ইত্যাদি সহজে করার এই প্যালেট ব্যবহার করা হয়।
এগুলো ছাড়া আরো কিছু প্যালেট আছে যে গুলোর নাম এবং ব্যবহার কাজ করার সময় সম্পূর্ণ বিশদ আকারে বিস্তারিত জানবো।
ব্যবহারকারী বন্ধুত্বপূর্ণ ইন্টারফেস
আগের পর্ব গুলোতে আমরা জেনেছি ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন পার্ট সমূহ। একটা
জীনিস সব সময় মনে রাখতে হবে আমাদের ইন্টারফেস যতটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে তত
আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে এবং সহজে করতে পারবো। ফটোশপের ডিফল্ট সেটআপে,
প্লেটগুলির ইন্টারফেস দেখানোর জন্য কিছু আইকন দেখতে পাবেন। উদাহরণস্বরূপ,
আপনি লুকানো বা প্রদর্শন করতে HISTORY প্যালেট এবং Properties প্যালেটগুলির
সংশ্লিষ্ট আইকনে ক্লিক করতে পারেন।
যেহেতু আমরা সবাই এখানে স্ক্র্যাচ থেকে কাজ করছি, আমরা চাই আমাদের
ইন্টারফেসটি যতটা সম্ভব নিখুঁত হতে পারে যাতে আমরা একবারেই শুরু জানতে
পারি।
আপনার প্লেটগুলির চারপাশে সরানোর জন্য এবং পুনর্বিন্যাস করার জন্য, প্যালেটগুলির শিরোনাম টাইটেল ট্যাবে ক্লিক করবো এবং একটা থেকে আরেকটা আলাদা করার জন্য এটি টেনে আনুন যাতে করে এটি সেভাবেই থেকে যায়। তারপর যার যার ব্যবহার সুবিধার্থে সঠিক জায়গায় বসাবো।
আজ এই পর্যন্ত, আগামী পর্বে আমরা শিখবো ফটোশপের আরো কিছু মৌলিক বিষয় শিখবো যে বিষয় গুলো আমাদের একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Photoshop এ Color Mode ও কী কী এবং কোন Color ধারা কী করা যায়।
Photoshop এ Color Mode পাঁচটি ঃ
1. Bitmap
2. Grayscale
3. RGB Color
4. CMYK Color
5. Lab Color
Bitmap : 100% White and 100% Black এর আলাদা আলাদা color. ইহা ব্যবহৃদ হত আগের Studio তে।
Grayscale : সাদা কালো ছবির জন্য এই মুড ব্যবহার করা হয়।
RGB Color : RGB এর meaning হচ্ছে Red, Green, Blue. ওয়েব বা যন্ত্রের জন্য এই মুড ব্যবহার করা হয়।
CMYK Color : CMYK এর meaning হচ্ছে Cyan, Magenta, Yellow and key (Black)
Lab Color : ছবি ওয়াশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
বিটম্যাপ বনাম ভেক্টর
ফটোশপ ব্যবহারের আগে প্রয়োজনীয় কিছু তাত্ত্বিক বিষয় জেনে নিন। কম্পিউটারে যে ইমেজগুলি আমরা দেখে থাকি সেগুলি দুধরনের হয়, বিটম্যাপ এবং ভেক্টর। ফটোশপ কাজ করে বিটম্যাপ ইমেজ নিয়ে অন্যদিকে ইলাষ্ট্রেটর, কোরেল ড্র ইত্যাদি সফটঅয়্যার কাজ করে ভেক্টর নিয়ে। বিটম্যাপকে রঙতুলি দিয়ে আকা ছবি এবং ভেক্টরকে পেনসিলে আকা ছবির সাথে তুলনা করতে পারেন (যদিও পার্থক্য রয়েছে অনেক বিষয়ে)। সরল ভাষায় বিটম্যাপে একটি দাগ দেয়ার পর আপনি সেটা পরিবর্তন করতে পারেন না, ভেক্টরে তাকে বাকানো থেকে শুরু করে সবধরনের পরিবর্তন করা যায়।
বিটম্যাপ ছবি তৈরী হয় পিক্সেল নামের ছোট ছোট ডট দিয়ে। খবরের কাগজের ছবি ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেগুলিও ছোট ছোট ডট দিয়ে তৈরী। ডটের ঘনত্ব কম হলে সেগুলি দেখা যায়, বেশি হলে ডট বোঝা যায় না। এই ঘনত্ব যত বেশি ছবির মান তত ভাল।
কম্পিউটার মনিটর কিংবা অন্য যে কোন ডিসপ্লেতে ছবির মাপ হিসেব করা হয় পিক্সেল দিয়ে। আপনার মনিটরের রেজুলুশন যদি ১০২৪-৭৬৮ হয় তাহলে ১০২৪-৭৬৮ পিক্সেলের একটি ছবি ১০০% ভিউতে পুরো স্ক্রিন জুড়ে থাকবে। প্রিন্টের সময় হিসেব করা হয় ইঞ্চি অথবা সেন্টিমিটারে। ফটোশপে যে কোনটি হিসেব করে ছবির মাপ ঠিক করা যায়, যদিও মনিটরে সবসময়ই দেখা যাবে পিক্সেল হিসেবে।
ফটোশপের নিজস্ব ফাইল ফরম্যাপ PSD (ফটোশপ ডকুমেন্ট)। অর্থাত সরাসরি সেভ কমান্ড দিলে এই ফরম্যাটে সেভ হবে। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ভাল মান পাওয়া যায়। অসুবিধে হচ্ছে এটা ব্যবহারের জন্য ফটোশপই প্রয়োজন হয় এবং ফাইল সাইজ খুব বড় হয়।
সব যায়গায় ব্যবহারের জন্য সাধারন ফরম্যাট জেপেগ (JPG, JPEG)। এতে ফাইলসাইজ সুবিধেমত ছোট করা যায়। অন্য কম্পিউটার, ওয়েব, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদির জন্য উপযোগি। সেভ এ্যাজ কমান্ড দিয়ে এই ফরম্যাটে সেভ করতে হয়।
জেপেগ ফরম্যাটে ছবির মান নষ্ট হয় বলে প্রিন্টের জন্য ব্যবহার করা হয় না। ফটোশপের করা ডিজাইন যদি প্রিন্টের জন্য দিতে হয় তাহলে সরাসরি ফটোশপ অথবা TIFF অথবা অন্য কোন সুবিধেজনক ফরম্যাট ব্যবহার করুন।
বিটম্যাপে ফটোগ্রাফের মত নানারঙা ছবি পাওয়া যায় যা ভেক্টর ফরম্যাটে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে বিটম্যাপের সমস্যা হচ্ছে বড় করলে ভেঙে যায় (প্রচলিত ভাষায় ছবি ফেটে যাওয়া)। ভেক্টরে সেটা হয় না। যত বড়ই করা হোক না কেন, মান একই থাকে। একাজে সহায়তা করার জন্য এডবির ভেক্টর ভিত্তিক সফটঅয়্যার ইলাষ্ট্রেটর ব্যবহার করা হয়।
বাস্তব উদাহরন দেখা যাক। আপনি একটি ভিজিটিং কার্ড তৈরী করছেন ফটোশপে। পেছনের আকর্ষনীয় ছবি এবং তার ওপর লেখার সবই ফটোশপের। প্রিন্টের জন্য এটা ব্যবহার করলে যদি সেই কম্পিউটারে নির্দিষ্ট ফন্ট না থাকে তাহলে ফন্ট পরিবর্তন হবে, ফলে আগের সৌন্দর্য থাকবে না। আবার এই সমস্যা এড়াতে ফন্টকে যদি ইমেজে পরিনত করেন তাহলে ভাঙা দেখাবে। ছোট লেখা পড়তে সমস্যা হবে।
এর সমাধান ভেক্টর। সাধারনত ডিজাইনাররা ছবির কাজ করেন ফটোশপে, লেখার কাজ করেন ইলাষ্ট্রেটরে। এথেকে ধরে নিতে পারেন, ইলাষ্ট্রেটরের কাজ ফটোশপে ব্যবহার করা যায়, ফটোশপের কাজ ইলাষ্ট্রেটরে ব্যবহার করা যায়। এক যায়গায় পরিবর্তন করলে সাথেসাথে আরেক যায়গায় পরিবর্তন হয়।
সাধারনভাবে ব্যবহৃত বিটম্যাপের ফাইল এক্সটেনশনগুলি হচ্ছে BMP, JPG, JPE, TIFF, PSD, PCD, PNG, GIF, TGA ইত্যাদি।
আর ভেক্টরের জন্য ফাইল এক্সটেনশন হচ্ছে DWG, AI, CDR, EMF, WMF ইত্যাদি।
ফটোশপ কোন ফরম্যাটে সেভ করবেন সেটা নির্ভর করবে কোথায় ব্যবহার করা হবে তার ওপর। সাধারনভাবে পুনরায় কাজ করা প্রয়োজন হলে অবশ্যই ফটোশপের নিজস্ব ফরম্যাট, মনিটর বা টিভিতে দেখার জন্য JPG, এনিমেশন ভিডিও এডিটিং কাজে TGA, JPG, ওয়েব এর জন্য JPG, GIF অথবা PNG ব্যবহার করা হয়।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফটোশপ এডভান্সড সিলেকশন
পূর্বের টিউটোরিয়াল গুলোতে আমরা জেনেছি সিলেকশন টুল সম্পর্কে। ফটোশপের কাজ করার জন্য সিলেকশন টুল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজ কে নিখূত ভাবে করার জন্য গুরুত্ব অনেক। কিছু সাধারণ টুল ছাড়াও এর ফটোশপের এডভান্সড সিলেকশন টুল রয়েছে। আজকে সেগুলো সম্পর্কে জানবো।
কুইক সিলেকশন টুল/ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল
একই ধরনের যায়গা দ্রুত সিলেক্ট করার জন্য কুইক সিলেকশন টুল অত্যন্ত কার্যকর। উদাহরনের ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ডে মোটামুটি একই ধরনের রং রয়েছে। এধরনের অবস্থায় এই টুল ব্যবহার করে খুব দ্রুত ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করা যাবে।
- টুলবক্সে কুইক সিলেকশন টুল সিলেক্ট করুন।
- যে যায়গা সিলেক্ট করতে চান সেখানে ক্লিক করে ড্রাগ করুন।
- সিলেকশনের যায়গা আরো বাড়ানোর জন্য কিবোর্ডে সিফট চেপে ধরে বাকি অংশে ড্রাগ করুন।
- প্রয়োজনে অপশন বারে ব্রাশ অপশন থেকে ব্রাসের সাইজ, স্পেসিং, হার্ডনেস, এঙ্গেল ইত্যাদি পরিবর্তন করে ফলাফল দেখুন।
আবারো উল্লেখ করতে হচ্ছে, এই ব্যবস্থা মোটামুটি একই ধরনের অংশের জন্য বেশি কার্যকর।
ম্যাজিক ওয়ান্ড ব্যবহার
ম্যাজিক ওয়ান্ড এবং কুইক সিলেকশন টুল একসাথে অবস্থান করে। একটি থেকে অপরটিতে যাওয়ার জন্য তার ওপর মাউস চেপে ধরুন।
ম্যাজিক ওয়ান্ড কাজ করে রঙের ভিত্তিতে। এই টুল ব্যবহার করে যে রংএর ওপর ক্লিক করবেন সেই রং সিলেক্ট হবে। অপশন বারে টলারেন্স পরিবর্তন করে সিলেকশনের পরিমান কম-বেশি করা যাবে।
উদাহরনের ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেকশনের জন্য ম্যাজি ওয়ান্ড ব্যবহার করে দেখুন।
- ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল সিলেক্ট করুন।
- ব্যাকগ্রাউন্ডের যে কোন স্থানে ক্লিক করুন।
- সিলেকশনের পরিমান বাড়ানোর জন্য অপশন বারে টলারেন্স এর পরিমান বাড়ান এবং সিফট চেপে নতুন স্থানে ক্লিক করুন।
- ইমেজের যে কোন যায়গা থেকে সেই রংগুলি সিলেক্ট করার জন্য মেনু থেকে Select Similar কমান্ড সিলেক্ট করুন।
টলারেন্স বাড়ালে একদিকে যেমন খুব দ্রুত সিলেক্ট করা যায়, অন্যদিকে ভুল অংশ সিলেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন ছবিতে চুলের কিছু অংশ সিলেক্ট হয়েছে। একে ডিসিলেক্ট করার জন্য Alt কি চেপে ধরে সেখানে ক্লিক করুন। অথবা টলারেন্স এর কমিয়ে নিন। আপনার ছবির প্রয়োজন অনুযায়ী টলারেন্স ঠিক করুন।
ল্যাসো, পলিগনাল ল্যাসো এবং ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল
ল্যাসো বা ফাস টুল ব্যাবহার করে যে কোন অসম যায়গা সিলেক্ট করতে পারেন। এই টুল সিলেক্ট করে যে অংশটুকু সিলেক্ট করতে চান তার চারিদিকে মাউস ড্রাগ করুন।
ল্যাসো পদ্ধতিতে যদি সরলরেখা ব্যবহার করে সিলেক্ট করতে চান তাহলে পলিগনাল ল্যাসো ল্যাসো টুল সিলেক্ট করুন।
- যেখান থেকে সিলেকশন শুরু করতে চান সেখানে ক্লিক করুন।
- পরবর্তি আরেকটি পয়েন্টে আরেকবার ক্লিক করুন। দুটি পয়েন্ট একটি সরলরেখা দিয়ে সংযুক্ত হবে।
- এভাবে পুরো সিলেকশন সম্পন্ন করুন।
- যেখানে শুরু করেছেন সেখানে পয়েন্টার আনলে পয়েন্টারের সাথে একটি বৃত্ত চিহ্ন দেখা যাবে। এই অবস্থায় ক্লিক করলে সিলেকশন সম্পুর্ন হবে।
কুইক মাস্ক ব্যবহার
এপর্যন্ত সিলেকশনের যে নানারকম পদ্ধতি বর্ননা করা হয়েছে এরথেকেও জটিল সিলেকশন যদি প্রয়োজন হয়, আরো সাবধানী হতে চান তাহলে কুইক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
- যে কোন সিলেকশন টুল ব্যবহার করে মোটামুটি একটি অংশ সিলেক্ট করুন।
- মেনু থেকে কমান্ড দিন Select – Edit in Quick Mask Modeসিলেক্ট করু অংশটুকুর চারিদিকে লালচে রং দেখা যাবে।
- এখানে সিলেক্ট করার তত্ত্ব হচ্ছে ব্রাশ টুল ব্যবহার করে যদি কালো রং দিয়ে পেইন্ট করেন তাহলে সেই অংশটুকু বাদ পড়বে, যদি সাদা রং দিয়ে পেইন্ট করেন তাহলে সেটা সিলেকশনের সাথে যোগ হবে। এর মাঝামাঝি রং সেমি-ট্রান্সপারেন্ট হবে। আপনার সুবিধে হচ্ছে ভুল হলে খুব সহজেই সেটা সংশোধন করে নিতে পারেন।
- প্রয়োজনীয় অংশ পেইন্ট করা হলে মেনু থেকে আবারওSelect – Edit in Quick Mask Mode কমান্ড সিলেক্ট করুন। পছন্দমত সিলেকশন পাবেন।
ফটোশপে সিলেকশনের পদ্ধতিগুলি দুইধাপে উল্লেখ করা হল। সিলেকশন ফটোশপের জন্য যেমন গুরুত্বপুর্ন তেমনি দক্ষভাবে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। শুরুতে হয়ত নিখুত কাজ নাও পেতে পারেন। কাজ করেই দক্ষতা বাড়াতে হয়।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি রিটাচিং, ছবির সমস্যা দুর করা
ছবি উঠানোর পর সাথেসাথে নিখুত ছবি পাওয়া যায় না। সেখানে আলো-রঙ ইত্যাদি ঠিক করা প্রয়োজন হয়। একথা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে। কোন ব্যক্তির ছবি উঠানো হলে সবসময়ই আশা করা হয় তাকে সুন্দর দেখাবে। মডেল ফটোগ্রাফি হলে তো কথাই নেই।
সাধারনভাবে যে কাজগুলি সবসময় করতে হয় তা হচ্ছে,
- রঙ ঠিক করা। পোষাক বা অন্যকিছু রঙ তো বটেই, মুখের বা শরীরের রঙ ঠিক করাও একটি বড় কাজ। স্কিন টোন নামে পরিচিত এই কাজের জন্য পৃথকভাবে অনেকগুলি ফটোশপ প্লাগই পর্যন্ত পাওয়া যায়।
- বয়স কিছুটা বেশি হলে চোখের পাশে ভাজ পড়ে। চামড়ার এধরনের ভাজ জুম লেন্স ব্যবহার করে কিছুটা এড়ানো হয়, তারপরও সমস্যা থেকে গেলে ঠিক করা হয় ফটোশপে। সহজ কথায়, চামড়াকে মসৃন দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
- কখনো কখনো ছবিতে চোখের ওপর লাল রঙের দাগ তৈরী হয়। এই দাগ দুর করার পদ্ধতি রেড আই কারেকশন নামে পরিচিত।
- কখনো কখনো ছবির বিশেষ কোন অংশ থেকে বড় ধরনের দাগ মুছে দেয়া প্রয়োজন হয়।
একাজগুলি খুব সহজে করার জন্য ফটোশপে রয়েছে নানারকম ব্যবস্থা। সেগুলি দেখে নেয়া যাক।
ছবির রং ঠিক করা
রঙ ঠিক করার জন্য ফটোশপে রঙের ব্যবহার সম্পর্কে ধারনা থাকলে সুবিধে হয়। আপনি কোন যায়গার রঙ পরিবর্তন করবেন অর্থ একধরনের রঙ কমাবেন, আরেক ধরনের রঙ বৃদ্ধি করবেন। আরজিবি (রেড-গ্রীন-ব্লু) ইমেজের ক্ষেত্রে এই তিনটি রঙের বিপরীত রঙ হচ্ছে Cyan, Magenta এবং Yellow। আপনি রাল রঙ কমাচ্ছেন অর্থ বিপরীত রঙের দিকে যাচ্ছেন। কাজেই সঠিক রঙ পাওয়ার বিষয়টি আপনাকে নানারকম পরিবর্তন করে বের করে নিতে হতে পারে।
রঙ পরিবর্তনের জন্য মেনু থেকে সিলেক্ট করুন, Image – Adjustments – Color Balance.
উদাহরনের ছবির রঙে লালচে ভাব বেশি রয়েছে। এমন অবস্থায় কিছুটা রেড কমানো, কিছুটা ইয়েলো ব্যবহার ইত্যাদি থেকে ফল পাওয়া যেত পারে।
দাগ দুর করা
ছবির দাগ দুর করার জন্য ফটোশপে ৪টি টুল রয়েছে। এগুলি হচ্ছে Spot Healing Brush tool, Healing Brush tool, Patch Tool এবং Red Eye Tool
উদাহরনের ছবিতে সাদা অংশে একটি দাগ রয়েছে। এধরনের দাগ দুর করার জন্য ফটোশপে স্পট হিলিং ব্রাস টুল। টুলটি সিলেক্ট করে সেখানে ক্লিক করুন। এক ক্লিকেই দাগটি চলে যাবে।
বেশি যায়গার দাগ দুর করা
যদি স্পট এর বদলে বেশ কিছুটা যায়গা জুড়ে দাগ থাকে যা আপনি বাদ দিতে চান তাহলে হিলিং ব্রাস টুল ব্যবহার করুন। টুলটি সিলেক্ট করুন, কিবোর্ডে Alt চেপে ধরে সেই যায়গার সাথে মিল রয়েছে এমন যায়গায় ক্লিক করুন, এরপর যেখানে পরিবর্তন করতে চান সেখানে ব্রাস ঘসতে থাকুন। ক্রমে দাগগুলি মুছে যাবে।
এই টুল যা করে তা হচ্ছে অন্য যায়গা বিশ্লেষন করে সেই যায়গার রং কপি করে। ব্রাশ ব্যবহারের সময় পয়েন্টারে প্রিভিউ দেখা যায়। কাজের সুবিধের জন্য ব্রাসসাইজ ঠিক করে নিতে পারেন।
প্যাচ টুল ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া
ছবি থেকে কোন একটি বিষয় বাদ দেয়ার জন্য প্যাচ টুল ব্যবহার করুন। যেমন এখানে টিপটি বাদ দেয়া হয়েছে।
প্যাচ টুল সিলেক্ট করুন। যে যায়গা বাদ দিতে চান তার চারিদিকে ড্রাগ করে সিলেক্ট করুন। এরপর সিলেকশনের মধ্যে ক্লিক করে ড্রাগ করুন। যে যায়গায় সরাবেন সেই যায় রং হিসেব করে এখানে ব্যবহার করা হবে।
রেড আই কারেকশন
হিলিং টুলগুলির মধ্যে সবশেষ রয়েছে রেড আই কারেকশন টুল। এর ব্যবহার খুবই সহজ। ছবিতে রেড আই থাকলে টুল সিলেক্ট করে সেখানে ক্লিক করুন। সাথেসাথে সেটা দুর হবে।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টেক্সট ব্যবহার
ফটোশপ ইমেজ এডিটিং সফট্ওয়্যার। ডিজিটাল পেইন্টিং এর ক্ষেত্রেও অসামান্য। সাধারনভাবে এধরনের সফট্ওয়্যার সম্পর্কে ধারনা হচ্ছে এতে টেক্সট ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ থাকে না। যেমন ধরুন কোরেল পেইন্টার। ডিজিটাল ড্রইং এর ক্ষেত্রে ফটোশপ থেকেও শক্তিশালী বলে ধরা হয়। সেখানে বড়জোর একলাইন টাইটেল লিখতে পারে। সেদিক থেকে ফটোশপ ব্যতিক্রম। এখানে দৃষ্টিনন্দন টাইটেল যেমন তৈরী করা যায় তেমনি প্যারাগ্রাফ টেক্সট ব্যবহারের সব সুবিধে রয়েছে।
টেক্সট ব্যবহারের জন্য টুলবক্স থেকে টাইপ টুল সিলেক্ট করতে হবে। টাইপ টুলে মাউস পয়েন্টার চেপে ধরলে ৪টি টুল দেখা যাবে। পাশাপাশি এবং উল্লম্বভাবে ছাড়াও মাস্কটুল নামে দুটি টুল রয়েছে। মাস্ক টুল সম্পর্কে পরে জানানো হচ্ছে।
টাইপ টুল সিলেক্ট করা অবস্থায় অপশান বার দেখুন। এখানে পর্যায়ক্রমে ফন্ট (টাইপফেস), ফন্টা টাইপ (বোল্ড, ইটালিক ইত্যাদি), ফন্ট সাইজ (বড় বা ছোট), এন্টিএলিয়াস, এলাইনমেন্ট, ফন্টের রং ইত্যাদি সিলেক্ট করা যাবে।
- একটি নতুন ডকুমেন্ট তৈরী করে সাদা রঙের ক্যানভাসে কালো রং ব্যবহার করে টাইপ শুরু করুন।
- লেখা শেষ করার জন্য কিবোর্ডে এন্টার চাপ দিন, অথবা অপশনবারে টিক চিহ্নে ক্লিক করুন।
ফটোশপে টেক্সট সবসময়ই টেক্সট লেয়ার নামে বিশেষ ধরনের লেয়ার অবস্থান করে। অর্থাত যখনই নতুন কিছু টাইপ করবেন সেটা নতুন লেয়ার তৈরী করবে।
লেখা পরিবর্তন করা
টাইপ করার আগে যেমন ফন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারেন তেমনি লেখার পরও ফন্ট টাইপফেস, ফন্টসাইজ ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারেন। নির্দিস্ট অংশে পরিবর্তনের জন্য সেই লেখাটুকু সিলেক্ট করে নিতে হবে। অন্যথায় লেয়ার সিলেক্ট করলে পুরো লেখার জন্য পরিবর্তন হবে।
- লেখায় কোন পরিবর্তনের জন্য টেক্সট টুল সিলেক্ট করা অবস্থায় টেক্সট এর ওপর ক্লিক করুন। টেক্সট এডিট মোড পাওয়া যাবে এবং টাইপে ভুল থাকলে বা নতুন লেখা যোগ করা প্রয়োজন হলে করা যাবে।
- ফন্ট টাইপফেস পরিবর্তনের জন্য ড্রপডাউন লিষ্ট থেকে নির্দিস্ট নাম সিলেক্ট করুন। অথবা ফন্টের নামের পাশে ক্লিক করে কিবোর্ডে আপ-ডাউন কি চাপ দিন। ফন্টের নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রিভিউ দেখা যাবে।
- ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করার জন্য ড্রপডাউন লিষ্ট থেকে বড় কিংবা ছোট মাপ সিলেক্ট করুন। অথবা পয়েন্টারকে লেখার মধ্যে এনে কন্ট্রোল কি চেপে ক্লিক করুন। লেখার চারিদিকে একটি বক্স পাওয়া যাবে। এটা টেনে লেখাকে বড়-ছোট করা যাবে।
- মেনু থেকে ক্যারেকটার/প্যারাগ্রাফ সিলেক্ট করে অন্যান্য টেক্সট ভিত্তিক সফটঅয়্যারের মত অন্যান্য অপশন পাওয়া যাবে।
- টেক্সট লেয়ারকে এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় সরানো যাবে অন্যান্য লেয়ারের মতই। কন্ট্রোল কি চেপে ধরে লেখার ওপর ড্রাগ করে পছন্দমত যায়গায় সরান।
প্যারাগ্রাফ টেক্সট
প্যারাগ্রাফ টেক্সটের আরেক নাম ফ্লোটিং টেক্সট। অর্থাত নির্দিস্ট যায়গার মধ্যে লেখা শেষ না হলে লেখা পরবর্তী লাইনে চলে যায়।
কতটুকু যায়গার মধ্যে প্যারাগ্রাফ থাকবে সিলেক্ট করার জন্য টেক্সট টুল ব্যবহার করে ক্যানভাসে ড্রাগ করে নির্দিস্ট করে দিন। মাউস ড্রাগ করা যায়গায় একটি টেক্সট বক্স তৈরী হবে এবং লেখা এই বক্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
বাকানো লেখা
লেখাকে নির্দিস্ট আকারে আনার জন্য অপশন বার থেকে Create Warped Text সিলেক্ট করুন। এরপর ড্রপডাউন বক্স থেকে পছন্দের আকার সিলেক্ট করুন।
অন্যান্য সফট্ওয়্যারের মত ফটোশপেও পেন টুল ব্যবহার করে পাথ তৈরী করে সেই পাথ অনুযায়ী টেক্সট ব্যবহার করা যায়।
লেয়ার ইফেক্ট ব্যবহার
টেক্সট যেহেতু নিজেই একটি লেয়ার সেহেতু ড্রপস্যাডো, গ্লো ইত্যাদি সব ধরনের লেয়ার ইফেক্ট ব্যবহার করা যাবে।
এজন্য মেনু থেকে Layer – Layer Style সিলেক্ট করুন এবং পছন্দমত ইফেক্ট ব্যবহার করুন।
আপনি যে টেক্সটই ব্যবহার করুন না কেন, অন্য কম্পিউটারে ব্যবহারের সময় সেখানেও সেই ফন্ট থাকতে হবে। না থাকলে তার বদলে অন্য ফন্ট ব্যবহৃত হবে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যহানি ঘটবে। এটা এড়ানোর জন্য লেখাকে বিটম্যাপে পরিনত করে নিতে পারেন।
- টেক্সট লেয়ারের ওপর রাইট-ক্লিক করে Rasterize Type সিলেক্ট করুন।
ছোট লেখাকে বিটম্যাপে পরিনত করলে ধারগুলি ভাঙা দেখাতে পারে।
মাস্ক টুল
মাস্ক টুল ব্যবহার করতে হয় অন্য লেয়ারের ওপর। এরফলে নতুন টেক্স লেয়ার তৈরী
হয় না। মাস্ক টুল ব্যবহার করে লিখলে সেখানে লেখার বদলে ফন্টের সাথে মিল
রেখে সিলেকশন পাওয়া যাবে।
মাস্ক টুল ব্যবহার করে কিছু টাইপ করুন, এরপর সেই অংশ রং বা প্যাটার্ন দিয়ে ফিল করুন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লাইটিং ইফেক্ট
ছবিতে ষ্টেজের মত লাল-নিল রঙের লাইট দেখাতে চান। সত্যিকারের রঙিন আলো ব্যবহার করে ছবি উঠানো নিশ্চয়ই সকলের পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু যে কোন আলোয় ছবি উঠিয়ে তাকে ফটোশপে এনে রঙিন আলো ব্যবহার করা সম্ভব খুব সহজেই।
ফটোশপ ব্যবহার করে কিভাবে একাজ করবেন জেনে নিন।
- ছবিকে ফটোশপে ওপেন করুন।
- মেনু থেকে কমান্ড দিন Filter –> Render –> Lighting Effects
- Style ডায়ালগ বক্সের অংশ থেকে পছন্দমত ষ্টাইল সিলেক্ট করুন। উদাহরনে আরজিবি (রেড-গ্রিন-ব্লু) লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।
- আলোর পরিমান কমবোশি করার জন্য Intensity স্লাইডার ব্যবহার করুন।
- আলোর রং পরিবর্তনের জন্য রঙের ওপর (ছবিতে লাল) ক্লিক করুন এবং পছন্দের রং সিলেক্ট করুন। উদাহরনে নিল রংকে সাদায় পরিনত করা হয়েছে।
- সরাসরি আলো অবস্থান পরিবর্তনের জন্য লাইটের কেন্দ্রের বিন্দু ক্লিক করে ড্রাগ করুন।
- আলোর পরিমান কমবেশি করার জন্য বৃত্তের দুপাশের বিন্দু ব্যবহার করুন।
- আলোকে সরু বা চওড়া করার জন্য বৃত্তের ওপর-নিচের বিন্দু ব্যবহার করুন।
এই Filter ব্যবহার করে শুধুমাত্র যে আকর্ষনীয় আলো যোগ করা যায় তাই না, থ্রিডি মডেলিং সফটঅয়্যারের মত ধাতব বৈশিষ্ট যোগ করা, এক্সপোজার কমবেশি করা এবং টেক্সচার ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন সেটিং নিয়ে নানারকম পরীক্ষা করে দেখুন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেয়ার প্রয়োজনীয়তা
ফটোশপে উচুমানের ইফেক্ট ব্যবহার, আলাদা কর্ম সম্পাদন করা এই গুলো এক সাথে করে কম্পোজিট ইমেজ তৈরীর জন্য লেয়ার প্যালেট প্রয়োজন হয়। প্রতিটি লেয়ারে ভিন্নভিন্ন অবজেক্টকে ঠিক রেখে তাদের সমম্বয়ে একটি ইমেজ তৈরী করা সম্ভব এই লেয়ার দিয়ে। এছাড়া ড্রপ স্যাডো-র মত কিছু ইফেক্ট ব্যবহারের জন্য লেয়ার গুরুত্ব অনেক।
যতক্ষন লেয়ারগুলি পৃথকভাবে থাকে ততক্ষন তাদের পৃথকভাবে পরিবর্তন করা যায়। এদেরকে একসাথে এর একটি লেয়ারে পরিনত করলে পৃথকভাবে আর পরিবর্তনের সুযোগ থাকে না। ফটোশপের নিজস্ব ফরম্যাট PSD লেয়ার ব্যবহার করে কিন্তু JPEG বা PNG ফরম্যাট লেয়ার সাপোর্ট করে না। আর তাই যখন আউটপুট JPEG বা PNG হিসেবে সেভ করার পর যদি মনে হয় ভবিষ্যতে মুল ছবিতে আরো পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে সরাসরি ফটোশপ PSD ফরম্যাটে সেভ করে রাখবো।
নতুন লেয়ার তৈরী এবং ব্যবহার
- নতুন একটি ফাকা লেয়ার তৈরীর জন্য লেয়ার প্যানেলের নিচের দিকে আইকনে ক্লিক করুন। নতুন একটি ট্রান্সপারেন্ট লেয়ার তৈরী হবে এবং নিজে থেকে লেয়ার ১, লেয়ার ২ এইভাবে নামকরন করবে। লেয়ারের নাম দেয়ার জন্য লেয়ারের নামে ডাবল ক্লিক করুন এবং নাম টাইপ করে দিন। একটি ইমেজে অনেকগুলি লেয়ার থাকতে পারে, কাজেই চেনার জন্য নাম ব্যবহার সুবিধেজনক।
- একই ইমেজের একটি অংশ থেকে নতুন লেয়ার তৈরীর জন্য নির্দিস্ট অংশটুকু সিলেক্ট করুন। তার ওপর রাইট-ক্লিক করে Layers via copy কিংবা Layer via cut সিলেক্ট করুন।
- অন্য ইমেজ থেকে একটি অংশ নতুন লেয়ার হিসেবে আনার জন্য পাশাপাশি দুটি ইমেজ ওপেন করুন। যে ইমেজ থেকে লেয়ারকে অন্য ইমেজে নিতে চান সেটা ড্রাগ করে অপর ইমেজে নিয়ে যান। এছাড়া অন্য সফট্ওয়্যার কপি কমান্ড দিয়ে ফটোশপে পেষ্ট কমান্ড ব্যবহার করেও নতুন লেয়ারে ছবি ব্যবহার করা যাবে।
- লেয়ারের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য ড্রাগ করে ওপরে বা নিচে নিন।
- লেয়ার মুছে দেয়ার জন্য লেয়ারটি ড্রাগ করে নিচের ডিলিট লেয়ার আইকনের ওপর ছেড়ে দিন। এছাড়াও লেয়ারটি সিলেক্ট করে ডিলিট লেয়ার আইকনে ক্লিক লেয়ার মুছে ফেলা যাবে।
- লেয়ার হাইড করার জন্য লেয়ারের বামদিকের চোখ আইকনে ক্লিক করুন। হিডেন লেয়ার কখনই পরিবর্তন করা যাবে না।
- লেয়ারগুলির ওপরে লক লেখা কয়েকটি আইকন রয়েছে। এগুলি ব্যবহার করে ননট্রান্সপারেন্ট অংশ, ট্রান্সপারেন্ট অংশ, লেয়ারের অবস্থান অথবা লেয়ারের সবকিছু লক করা যায়।
এডজাষ্টমেন্ট লেয়ার
কোন লেয়ারের ব্রাইটনেস-কন্ট্রাষ্ট থেকে শুরু করে যে কোনকিছু পরিবর্তন করলে লেয়ারটির স্থায়ী পরিবর্তন হয়। এডজাষ্টমেন্ট লেয়ার নামে একধরনের লেয়ার তৈরী করে সেখানে এই পরিবর্তন করে মুল লেয়ারকে আগের মত রেখে দেয়া যায়।
- এডজাষ্টমেন্ট লেয়ার তৈরীর জন্য নির্দিষ্ট লেয়ারটি সেলেক্ট করুন।
- মেনু থেকে Layer –> New Adjustment layer কমান্ড দিন এবং লেয়ারের একটি নাম দিন। নতুন একটি লেয়ার তৈরী হবে। এই লেয়ার সিলেক্ট করে লেয়ারের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যাবে।
লেয়ার লিংক
একাধিক লেয়ার লিংক করার মাধ্যমে তাদের একসাথে পরিবর্তন করা যায়। যেমন একটি লেয়ার সরানোর সাথেসাথে যদি অন্য লেয়ার ঠিক ততটা সরানো প্রয়োজন হয় তাহলে লেয়ারদুটি লিংক করে নিন।
- লিংক করার জন্য যে লেয়ারগুলি লিংক করা প্রয়োজন সেগুলি সিলেক্ট করুন (Ctrl+click)।
- লেয়ার প্যানেলের নিচের দিকে লিংক বাটনে ক্লিক করুন।
ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার
একটি JPEG ফরম্যাটের ইমেজ ওপেন করলে ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার নামে একটিমাত্র লেয়ার হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারে পরিবর্তন করা যায় না। একে সাধারন লেয়ারে পরিনত করার জন্য লেয়ার থাম্বনেইলে ডাবল-ক্লিক করুন এবং নতুন লেয়ারের নাম দিন।
লেয়ার গ্রুফ
কয়েকটি লেয়ারকে একসাথে একটি গ্রুপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। একে একটি ফোল্ডারের মধ্যে ফাইল সাজিয়ে রাখার সাথে তুলনা করতে পারেন।
- Create a new group আইকনে ক্লিক করুন এবং একটি নাম দিন।
- লেয়ারকে ড্রাগ করে এই ফোল্ডারের মধ্যে নিয়ে যান।
লেয়ার একসাথে করা
পৃথক দুটি বা ততোধিক লেয়ারকে একটি লেয়ারে পরিনত করার জন্য মার্জ লেয়ার কমান্ড ব্যবহার করতে পারেন।
সবগুলি লেয়ার একসাথে করে একটি ইমেজ তৈরীর জন্য লেয়ার প্যানেলের ওপরে
ডানদিকের অপশন বাটনে ক্লিক করুন এবং Flatten Image সিলেক্ট করুন। অথবা
লেয়ারের ওপর রাইট-ক্লি করে Flatten Image সিলেক্ট করুন।
একটি লেয়ার থেকে তার পরবর্তী লেয়ারগুলিকে একটি লেয়ারে পরিনত করার জন্য সেই লেয়ারে রাইট-ক্লিক করেMerge down সিলেক্ট করুন।
হিডেন লেয়ারগুলি বাদ দিয়ে বাকি লেয়ারগুলিকে একসাথে করার জন্য লেয়ারে রাইট-ক্লিক করে Merge visible সিলেক্ট করুন।
লেয়ার ইফেক্ট ব্যবহার
লেয়ারের জন্য ড্রপস্যাডো, আউটার গ্লো, বেভেল ইত্যাদি নানা ধরনের ইফেক্ট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। লেয়ারের ধারগুলি দিয়ে এই ইফেক্ট কাজ করবে।
- নির্দিস্ট লেয়ার সিলেক্ট করুন।
- মেনু থেকে সিলেক্ট করুন Layer – Layer Style
- বিভিন্ন প্যারামিটার পরিবর্তন করে প্রিভিউ দেখে নিন।
লেয়ার ব্লেন্ডিং
সাধারনভাবে একাধিক লেয়ার ব্যবহারের সময় ওপরের লেয়ারের ট্রান্সপারেন্ট অংশ দিয়ে নিচের লেয়ার দেখা যায় এবং বাকি অংশটুকু ঢাকা পড়ে। ব্লেন্ডিং মোড পরিবর্তন এক এক লেয়ারের সাথে আরেক লেয়ারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন ধরনের ইফেক্ট তৈরী করা যায়।
- যে লেয়ারটির ব্লেন্ডিং মোড পরিবর্তন করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন।
- লেয়ার প্যানেলে Normal লেখা ড্রপ ডাউন লিষ্ট থেকে অন্য মোডগুলি ব্যবহার করে দেখুন।
মোট কথা আপনি কাজ কতটুকু দৃষ্টিনন্দন এবং নিখুত ডিজাইন করবেন তা নির্ভর করে লেয়ার কতটা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করবেন। প্রথম প্রথম এর ব্যবহার কঠিন হলেও বার বার চেষ্টা করলে এক সময় ইহা ব্যবহারে দক্ষ হয়ে যাবেন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
নির্দিষ্ট রং বদল
ফটোগ্রাফে অনেক সময়ই একই রং কে বিভিন্ন রং এ পরিবর্তন করতে হয়। একটা ছবিতে অনেক সময় কিছু ঠিক রেখে নির্দিষ্ট অংশের রং এর পরিবর্তন করতে হয়। যেমন নিচের ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন।
- যে রংটি পরিবর্তন করা হবে সেই রংটি কোথাও কোখায় রয়েছে একবার দেখে রং পাল্টানোর জন্য সে অংশটুকু মোটামুটিভাবে সিলেক্ট করে নিন।
- মেনু থেকে কমান্ড দিন, Image – Adjustments – Replace Color
- ইমেজের যে যায়গার রং পাল্টাতে চান সেখানে মাউস পয়েন্টার আনুন। মাউস পয়েন্টারকে কালার পিকার হিসেবে দেখা যাবে।
- ক্লিক করে রং সিলেক্ট করুন। Replace Color ডায়ালগ বক্সে সিলেক্ট করা রং এর অংশটুকু সাদা হিসেবে দেখা যাবে।
- প্রয়োজনে Fuzziness পরিবর্তন করে সিলেকশন কম-বেশি করুন।
- ডায়ালগ বক্সের নিচের অংশ থেকে Hue, Saturation, Lightnessইত্যাদি পরিবর্তন করে রংকে পছন্দসই রংয়ে আনুন।
- Result অংশে ক্লিক করে নির্দিস্ট রং সিলেক্ট করে দিতে পারেন।
- বাটনে ক্লিক করলেই পরিবর্তিত রং পাবেন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পাথ (Path) এর ব্যবহার
পূর্বের টিউটোরিয়াল গুলোতে আমরা জেনেছি বিটম্যাপ ও ভেক্টর পাথর্ক্য। এই টিউটোরিয়াল আরো বুঝি ফটোশপ মুলত বিটম্যাপ (রাষ্টার) ইমেজ নিয়ে কাজ করলেও ভেক্টর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিটম্যাপ এবং ভেক্টরের পার্থক্য হচ্ছে বিটম্যাপ ইমেজ ছোট ছোট বিন্দু (পিক্সেল) দিয়ে তৈরী। কোন ইমেজকে খুব বড় করলে (জুম) পিক্সেলগুলি দেখা যায়। যে কারনে ছোট ছবিকে বড় করলে ছবির মান নষ্ট হয়। অন্যদিকে ভেক্টর ইমেজ গানিতিক হিসেবে তৈরী। যেকারনে বড়-ছোট যাই করা হোক না কেন সবসময় নিখুত থাকে। সাধারনভাবে ফটোশপ বিটম্যাপের জন্য ইলাষ্ট্রেটর ভেক্টরের জন্য এটাই ধরে নেয়া হয়। ফটোশপকে ব্যবহার করা যায় ভেক্টর এবং বিটম্যাপের হাইব্রিড হিসেবে।
ফটোশপে একে বলা হয় পাথ। অন্যান্য ড্রইং সফটঅয়্যারের মত পেন টুল ব্যবহার করে পাথ তৈরী করা যায়, আবার সাধারন সিলেকশন থেকেও পাথ তৈরী করা যায়। আবার উল্টোভাবে যদি পেন টুল ব্যবহারে দক্ষ হন তাহলে পাথ তৈরী করে নিখুতভাবে সিলেকশনের কাজ করতে পারেন।
সিলেকশন থেকে পাথ তৈরী
- ফটোশপের যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ইমেজের নির্দিস্ট অংশ সিলেক্ট করুন।
- Paths প্যানেল ওপেন করুন।
- Alt চেপে ধরে Make Work Path ক্লিক করুন। ০.৫ অথবা ১ পিক্সেল ব্যবহার করুন।
- পেন টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন এ্যাংকর পয়েন্ট সরিয়ে সিলেকশনকে নিখুত করুন।
- পাথকে পুনরায় সিলেকশনের পরিনত করার জন্য পাথ প্যানেলে রাইট-ক্লিক করে Make selection সিলেক্ট করুন।
একবার পাথ তৈরী পর তাকে ভেক্টর হিসেবে সহজে নির্দিস্ট মাপে আনা সম্ভব। বিশেষ করে কম রেজ্যুলুশনের ইমেজ সিলেক্ট করার সময় (ব্যাকগ্রাউন্ড বাদ দেয়ার জন্য) এই পদ্ধতি প্রয়োজন হয়।
পেন টুল ব্যবহার করে পাথ তৈরী
- একটি নতুন ডকুমেন্ট তৈরী করুন।
- পেন টুল সিলেক্ট করুন।
- ডকুমেন্টে ক্লিক করে একটি এ্যাংকর পয়েন্ট তৈরী করুন।
- আরেক যায়গায় ক্লিক করে আরেকটি এ্যাংকর পয়েন্ট তৈরী করুন। পয়েন্টদুটি একটি সরলরেখা দিয়ে যুক্ত পাওয়া যাবে।
- আরেক যায়গায় আরেকটি পয়েন্ট তৈরী করুন এবং ড্রাগ করুন। সরলরেখার বদলে বাকা রেখা পাওয়া যাবে। দুপাশে দুটি হ্যান্ডলার পাওয়া যাবে যা ব্যবহার করে বাকানোর পরিমান নিয়ন্ত্রন করা যাবে। হ্যান্ডলার বড় বা ছোট করে এই বাকানোর কাজ নিয়ন্ত্রন করা যাবে।
- শুরুর এ্যাংকর পয়েন্টে মাউস আনলে একটি বৃত্ত দেখা যাবে। সেখানে ক্লিক করলে একটি ক্লোজ সেপ তৈরী হবে।
এ্যাংকর পয়েন্ট দুধরনের হয়। একটি ষ্ট্রেট পয়েন্ট, যা আগের পয়েন্টের একই দিকে যায়, অপরটি কার্ভ পয়েন্ট যা আগের পয়েন্টের বিপরীত দিকে যায়।
নতুন পয়েন্ট তৈরী, পয়েন্ট মুছে দেয়া, পয়েন্ট পরিবর্তন
পেন টুলে মোট ৫টি টুল রয়েছে। অন্যান্য টুলের মত সেখানে মাউস চেপে ধরে যে কোনটি ব্যবহার করা যাবে।
- পাথের ওপর নতুন পয়েন্ট তৈরীর জন্য Add Anchor point tool ব্যবহার করুন।
- কোন পয়েন্ট মুছে দেয়ার জন্য Delete Anchor Point Toolব্যবহার করুন।
- ষ্ট্রেট পয়েন্ট এবং কার্ভ পয়েন্ট একটি থেকে অপরটিতে পরিবর্তনের জন্য Convert Point Tool টুল ব্যবহার করুন।
পাথ সিলেকশন
পাথ সিলেকশন এবং পরিবর্তনের জন্য পৃথক আরেকটি সিলেকশন টুল রয়েছে। এখানে রয়েছে দুটি টুল। পুরো পাথ সিলেক্ট করার জন্য ব্যবহার করুন। নির্দিস্ট এ্যাংকর পয়েন্ট সিলেক্ট করার জন্য ব্যবহার করুন।
ষ্ট্রোক পাথ
পাথ ব্যবহার করে ড্রইং করার পর সেই পাথকে নির্দিস্ট ষ্ট্রোক ব্যবহার করতে পারেন।
- পাথ প্যানেলে রাইট-ক্লিক করে Strike Path সিলেক্ট করুন।
- ষ্ট্রোকের জন্য ব্রাস বা অন্য টুল সিলেক্ট করুন।
ক্লিপিং পাথ
ক্লিপিং পাথ হচ্ছে ইমেজের নির্দিস্ট অংশকে ব্যবহারের জন্য পৃথক করে দেয়া। সাধারনত মেজমেকিং সফটঅয়্যারে এর প্রয়োজন হয়। যেমন ইন-ডিজাইনে একটি ছবি ইমপোর্ট করলে একজন ব্যক্তির চতুস্কোন ছবির চারিদিকে টেক্সট ব্যবহার করতে পারেন। ক্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করে তার শরীর ঘেসে টেক্সট ব্যবহার করা যাবে।
- ইমেজের জন্য পাথ তৈরী করুন।
- পাথ প্যানেলে ডাবল-ক্লিক করে একটি নাম টাইপ করে দিন।
- পাথ অপশন বাটনে ক্লিক করুন এবং Clipping Path সিলেক্ট করুন।
ইলাষ্ট্রেটরে জন্য ক্লিপিং পাথ এক্সপোর্ট করা
পাথসহ ফাইল সেভ করলেই ইলাষ্ট্রেটরে ক্লিপিং পাথ পাওয়া যাবে না। এজন্য
- File – Export – Paths of Illustrator কমান্ড দিন
- ফাইলের লোকেশন এবং নাম দিন
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফটোশপে এনিমেটেড জিফ ফাইল তৈরী
ওয়েব পেজে স্থির ছবির তুলনায় নড়াচড়া করা ছবি বেশি দৃষ্টি আকর্ষন করে। যারা ওয়েব পেজে বিজ্ঞাপন দেন তাদের কাছেও সেকারনেই এনিমেটেড বিজ্ঞাপন বেশি পছন্দ। ওয়েবে দুধরনের এনিমেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, ফ্লাশ ভিত্তিক এবং এনিমেটেড জিফ। ফ্লাশ এনিমেশনের জন্য ব্যবহার করবেন ফ্লাশ অথবা অন্য এনিমেশন সফটঅয়্যার। কাজ করতে হবে এনিমেশনের যে নিয়ম সেই নিয়মেই। আর জিফ এনিমেশন তৈরী করে নিতে পারেন ফটোশপেই।
জিফ এনিমেশন কি
সাধারন JPG, JPEG ইমেজ ফরম্যাটের মত জিফ (GIF) ইমেজ ফরম্যাটও নিশ্চয়ই দেখেছেন। এনিমেটেড জিফ বিশেষ ধরনের জিফ ফাইল যেখানে ভিডিও ফাইলের মত একাধিক ফ্রেম থাকে। এই ফ্রেমগুলিতে যাকিছু পরিবর্তন থাকবে জিফ এনিমেশন দেখার সময় তাকেই চলমান ভিডিও বা এনিমেশন মনে হবে।
ফটোশপে কাজটি করার সাধারন ধারনা হচ্ছে, একেকটি ফ্রেমকে একেটি লেয়ারে রাখবেন। এক লেয়ার থেকে আরেক লেয়ারের জন্য টুইন কমান্ড ব্যবহার করবেন (যেমন টেক্সট এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় সরে যাওয়া, কিংবা রং পরিবর্তন হওয়া)। এরপর তাকে সেভ করবেন এনিমেটেড জিফ হিসেবে। একাজে সহায়তা করার জন্য এনিমেশন প্যানেল (টাইমলাইন) নামে বিশেষ ব্যবস্থা। একে ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশনের টাইমলাইনের সাথে তুলনা করতে পারেন।
ওয়ার্কস্পেস
ফটোশপে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ইউজার ইন্টারফেসকে বিভিন্নরকমভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। এনিমেশন কাজের জন্য মোশান ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করলে কাজ করা সহজ হবে।
- মোশান ওয়ার্কস্পেস পাওয়ার জন্য মেনু থেকে Window – Workspace – Motion কমান্ড দিন।
এনিমেশন তৈরী
এখানে একটি এনিমেটেড টেক্সট বাটন তৈরী করা দেখানো হচ্ছে যা নির্দিষ্ট সময় পরপর রং পরিবর্তণ করবে। হলুদ এবং লাল রয়ের এই নেক্সট বাটন তৈরীর জন্য যা করবেন;
- সুবিধেজনক মাপের একটি ইমেজ তৈরী করুন।
- লেখাটি লিখুন এবং তাকে হলুদ রঙে রাখুন।
- লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করে আরেকটি লেয়ার তৈরী করুন, এর রং পরিবর্তন করে লাল করুন।
এনিমেশনের দৈর্ঘ্য ঠিক করুন
- এনিমেশনের জন কতগুলি ফ্রেম ব্যবহৃত হবে বলে দেয়ার জন্য টাইমলাইনের শুরুতে এবং শেষে এবং নামে দুটি মার্কার রয়েছে। শেষের মার্কারটি ড্রাগ করে যেখানে এনিমেশন শেষ হবে সেখানে আনুন।
কোন লেয়ার কখন দেখা যাবে ঠিক করুন
- প্রতিটি লেয়ারের শুরু এবং শেষ প্রান্ত ড্রাগ করে সেই লেয়ার দেখার সময় ঠিক করে দিন। উদাহরনে হলুদ যেখানে শেষ হবে সেখান থেকে লাল লেয়ারটি শুরু কবে।
- এখানে শুধুমাত্র টেক্সট ব্যবহার করা হলেও আপনি ছবি ব্যবহার করে এনিমেশন তৈরী করতে পারেন।
এনিমেট করুন
- প্রতিটি লেয়ারের জন্য পৃথকভাবে Position, Opacity, Style, Text Warp এই বিষয়গুলি পরিবর্তন করে এনিমেট করা যাবে। ছোট থেকে বড় করা, বাইরে থেকে ভেতরে আসা, ক্রমাম্বয়ে অষ্পষ্ট থেকে স্পষ্ট হওয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে এনিমেশন তৈরী করুন।
এনিমেশন প্লে করে দেখুন
- টাইমলাইনের নিচে প্লে বাটন ব্যবহার করে এনিমেশনটি প্লে করে দেখুন।
এনিমেটেশন ফাইল তৈরী করুন
- সবকিছু ঠিক থাকলে টাইমলাইনের নিচে ডানদিকে Convert to frame animation ক্লিক করুন।
- সেভ করার জন্য মেনু থেকে File – Save for Web & Devicesকমান্ড দিন এবং জিফ প্রিসেট সিলেক্ট করুন।
আপনার এনিমেশন কতটা ভাল হবে নির্ভর করে আপনার লেয়ারগুলির ওপর।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওয়েব পেজের জন্য ইমেজ তৈরী
ওয়েব পেজে ব্যবহৃত ইমেজের নির্দিস্ট কিছু বৈশিষ্ট থাকতে হয়। একদিকে সেগুলির ফাইল সাইজ হতে হয় ছোট যেন ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগেও দ্রুত সাইট ওপেন হয়, অন্যদিকে কখনো কখনো ট্রান্সপারেন্ট ব্যাকগ্রাউন্ড প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ডে রং বা ছবি থাকলে। ইমেজ ফরম্যাটও হতে হয় এমন যা সব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায়। ফটোশপে খুব সহজেই ওয়েবের জন্য ইমেজ তৈরী করে নেয়া যায়।
ওয়েব সাইটের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাট হচ্ছে JPEG, PNG। JPEG ফরম্যাট বিশেষ করে ফটোগ্রাফ জাতিয় ছবির ক্ষেত্রে মান ঠিক রেখেও ফাইল সাইজ ছোট করে নেয়া যায়। অসুবিধে হচ্ছে এতে ট্রান্সপারেন্সি ব্যবহার করা যায় না। ট্রান্সপারেন্সি ব্যবহার করতে হলে PNG ফরম্যাট ফাইল Save করতে হবে। যদিও ফাইলের আকার সাধারনত JPEG থেকে কিছুটা বড় হয়।
আরেক জনপ্রিয় ফরম্যাপ জিফ (GIF)। এতে রঙের সিমাবদ্ধতা রয়েছে ফলে JPEG ফরম্যাটের মত তত উচুমানের ছবি পাওয়া যায় না। আবার সুবিধার দিকে রয়েছে বিশেষ রংকে ট্রান্সপারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ।
- ইমেজ ফাইলের যাকিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন সেগুলি করার পর মেনু থেকে কমান্ড দিন File –>Export–>Save for Web ডায়ালগ বক্স পাওয়া যাবে।
- সহজে ব্যবহারের জন্য ডানদিকে প্রিসেট মেনু থেকে যে ফরম্যাট ব্যবহার করতে চান সেই ফরম্যাটের প্রিসেট সিলেক্ট করুন।
- ইমেজের নিচে বামদিকে ইমেজটির ফাইলসাইজ কত হবে, কত স্পিডের ইন্টারনেট লাইনে কত সময় প্রয়োজন হবে দেখা যাবে। প্রয়োজনে আপনার পছন্দের লাইনস্পিড সিলেক্ট করে নির্দিস্টভাবে জেনে নিন।
- ইমেজের ওপরের 4-Up বাটন ব্যবহার করলে মুল ইমেজের সাথে আরো ৩টি ভিন্ন ভিন্ন সেটিংএ প্রিভিউ দেখা যাবে। উদাহরনের ছবিতে মুল ইমেজ ১.৯ মেগাবাইট, দ্বিতীয়টি ১০৯ কিলোবাইট এবং তৃতীয়টি ৯৩ কিলোবাইট। যে কোন ইমেজ সিলেক্ট করে সেটার জন্য সেটিং পরিবর্তন করে প্রিভিউ এবং ফাইলের তথ্য দেখে নিতে পারেন। একেক প্রিভিউ এর জন্য একে ফরম্যাট সিলেক্ট করে জেনে নিতে পারেন কোনটি আপনার জন্য বেশি উপযোগি।
- জিফ এর জন্য ৬৪ কালার, ১২৮ কালার বা ২৫৬ কালার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
- আপনি যে ইমেজ ব্যবহার করতে চান সেটার ওপর ক্লিক করে সিলেক্ট করুন। এবং Save বাটনে ক্লিক করুন।
ওয়েব পেজে ইমেজ ব্যবহারের জন্য ফাইল সাইজ এবং ছবির মান দুদিকেই দৃষ্টি দিতে হয়। দুইয়ের সমতা রেখে ইমেজ তৈরী করতে হবে।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টেক্সট কাটআউট ইফেক্ট
কোন একটি ইমেজ থেকে টেক্সট-কাট-আউট ইফেক্ট তৈরী করলে মনে হবে ইমেজ কেটে টেক্সট তৈরী করা হয়েছে। ইহা ফটোশপের মাধ্যমে কিভাবে করা যায় তা শিখবো।
যে ছবি ব্যবহার করে টেক্সট তৈরী করবেন তাকে ফটোশপে ওপেন করুন। ফুলের ছবি ব্যবহারের সময় ছোটছোট ফুলের ছবি বেশি সুবিধেজনক।
- যে টেক্সট ব্যবহার করতে চান সেটি টাইপ করুন। ইমেজের ওপর যায়গামত রাখুন।
- ইমেজ লেয়ারকে টেক্সট লেয়ারের ওপরে নিন।
- দুটি লেয়ারের মাঝখানের লাইনে Alt-Click করুন।
আপনার টেক্সট কাট-আউট ইমেজ তৈরী।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। তবে অবশ্যই আপনারা বাসায় প্র্যাকটিস্ করবেন, যত বেশি বেশি প্র্যাকটিস্ তত আরো ভালো ভাবে দক্ষ হবেন। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পাথ টেক্সট এবং সেপ
আপনি যখন ফটোশপে লোগো তৈরী করেন তখন অনেক সময়ই বৃত্তাকার টেক্সট প্রয়োজন হয়। এছাড়াও নির্দিস্ট রেখা অনুসরন করে টেক্সট ব্যবহার করে ডিজাইনকে আকর্ষনীয় করা যায়। ফটোশপে নিজস্ব পাথ তৈরী করে সেই পাথ অনুযায়ী টেক্সট ব্যবহার করা যায়, আবার বৃত্তসহ নানারকম সেপ তৈরী করে তারসাথেও ব্যবহার করা যায়।
- পেন টুল ব্যবহার করে পাথ তৈরী করুন।
- টেক্সট টুল সিলেক্ট করুন।
- মাউস পয়েন্টারকে পাথের কাছাকাছি আনলে নিচের দিকে বাকা চিহ্নবিশিষ্ট বিশেষ ধরনের আইকন পাওয়া যাবে। পাথের ওপর ক্লিক করুন।
- টাইপ করুন। ফন্ট, সাইজ ইত্যাদি পরিবর্তন করুন।
পাথ টেক্সট পরিবর্তন করা
- টাইপ করার পর টেক্সটকে পাথের ওপর সরানোর জন্য টেক্সট টুল সিলেক্ট করা অবস্থায় কন্ট্রোল (Ctrl) কি চেপে ড্রাগ করুন।
- কন্ট্রোল-ড্রাগ করে কার্সরকে বিপরীত দিকে কিছুটা সরালে লেখাটি উল্টে যাবে।
- কখনো কখনো বৃত্তার টেক্সট এর ক্ষেত্রে দুটি ভিন্নদিকের টেক্সট এর জন্য দুটি পাথ ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে।
ফটোশপে বৃত্ত সহ অন্যান্য যে সেপগুলি তৈরী করা যায় সেগুলিকে টেক্সট পাথ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- Ellipse Toll সিলেক্ট করুন (Line Tool সাথে)
- পাথ হিসেবে বৃত্ত আকার জন্য প্রোপার্টিজ টুলবারে পাথ (Paths) ক্লিক করুন। এরফলে রংহীন বৃত্ত তৈরী হবে।
- ক্যানভাসে সঠিক মাপের বৃত্ত আকুন।
- Text Tool সিলেক্ট করুন।
- বৃত্ত-পাথের ওপর ক্লিক করুন এবং টাইপ করুন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। তবে অবশ্যই আপনারা বাসায় প্র্যাকটিস্ করবেন, যত বেশি বেশি প্র্যাকটিস্ তত আরো ভালো ভাবে দক্ষ হবেন। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লিকুইডিফাই ইফেক্ট
ফটোশপ ব্যবহার করে সুন্দর ডিজাইন তৈরী করবেন, ইমেজে সমস্যা থাকলে দুর করবেন, পেইন্ট করবেন, স্পেশাল ইফেক্ট দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে ষ্টার ট্রেকের কথা। কিংবা বর্তমানের নানারকম ফ্যান্টাসি কিংবা সাইন্স ফিকশনের মজাদার চরিত্রের কথা। কখনো কি মনে হয়নি নিজের কিংবা পরিচিত কাউকে তেমনি মজাদার কোন চরিত্রে পরিনত করার।
ফটোশপে সেটা করতে পারেন লিকুইডিফাই ইফেক্ট ব্যবহার করে।
- যে ছবিতে লিকুইডিফাই ইফেক্ট ব্যবহার করে পরিবর্তন করতে চান সেটি ওপেন করুন।
- মেনু থেকে কমান্ড দিণ Filter – Liquidify, লিকুইডিফাই উইন্ডোতে ছবিটি ওপেন হবে।
- নিজে থেকে Forward Warp Tool সিলেক্ট হওয়ার কথা। এরজন্য ডানদিকের মেনু থেকে ব্রাশ সাইজ ঠিক করে নিন।
- ইমেজের যেখানে পরিবর্তন করতে চান সেখানে ক্লিক করে ড্রাগ করুন।
- অতিরিক্ত পরিবর্তন হলে Reconstruct Tool টুল সিলেক্ট করুন এবং ক্লিক করে ড্রাগ করুন। যাকিছু পরিবর্তন করেছেন সেটা বাতিল হয়ে আগের অবস্থার দিকে পরিবর্তন হবে।
- কোন যায়গাকে পরিবর্তনের বাইরে রাখার জন্য Freeze Maskটুল ব্যবহার করে পেইন্ট করুন।
- আপনি কোথায় কতটুকু পরিবর্তন চান সেটা নির্ভর করে বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে দেখুন।
- পছন্দমত পরিবর্তনের পর OK বাটনে ক্লিক করুন।
- কোন ব্যক্তির ছবি ক্যারিকেচার করার আগে আরেকবার ভেবে নিন। যার ছবি তিনি সেটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
শুধুমাত্র ব্যক্তির ছবিই পরিবর্তন করতে হবে এমন কথা নেই। অন্য ছবি থেকেও মজার কিছু পেতে পারেন।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল নিয়ে। তবে অবশ্যই আপনারা বাসায় প্র্যাকটিস্ করবেন, যত বেশি বেশি প্র্যাকটিস্ তত আরো ভালো ভাবে দক্ষ হবেন। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টিউটোরিয়াল (মূল সাইট)১-১৮পর্ব
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০১
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০২
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৩
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৪
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৫
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৬
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৭
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৮
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-০৯
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১০
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১১
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১২
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৩
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৪
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৫
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৬
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৭
- গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব–১৮
No comments:
Post a Comment